ব্যাংক থেকে ১,৩২,৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার

ব্যাংক থেকে ১,৩২,৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার

বিপুল ঘাটতি মেটাতে আগামী অর্থবছরে ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে থেকে এক লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ নেবে সরকার।

অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫ কোটি টাকার যে বাজেট প্রস্তাব করেছেন তাতে তিনি ব্যাংক থেকে এই বিপুল অঙ্কের টাকা ধার করার হিসাব কষেছেন।

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধসহ নানাবিধ অনিশ্চয়তার মধ্যে নতুন বাজেটে অর্থমন্ত্রী ৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব খাত থেকে জোগান দেয়ার কঠিন চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন। তারপরও তার আয় ও ব্যয়ের হিসাবে সামগ্রিক ঘাটতি থাকছে ২ লাখ ৬১ হাজার ৭৮৫কোটি টাকা, যা মোট জিডিপির ৫ দশমিক ২ শতাংশ।

ঘাটতির এই পরিমাণ আগের যেকোনো বছরের তুলনায় বেশি। অভ্যন্তরীণ উৎস ও বৈদেশিক ঋণ নিয়ে অর্থমন্ত্রীকে এই ঘাটতি পূরণ করতে হবে। আর সে জন্য নতুন বাজেটে বিদেশি ঋণের নির্ভরতা অনেকটাই বাড়িয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এবার বিদেশ থেকে ১ লাখ ২৭ হাজার ১৯০ কোটি টাকা আসবে বলে আশা করছেন তিনি। আর অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে ১ লাখ ৫৫ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ করার পরিকল্পনা জানিয়েছেন মুস্তফা কামাল।

প্রতি বছর বড় হচ্ছে বাজেটের আকার। তবে ব্যয় বাড়লেও তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাড়ছে না আয়। ফলে বড় হচ্ছে ঘাটতির অঙ্ক, আর সে জন্যই বাড়ছে ঋণনির্ভরতা।

আর এই ঘাটতি পূরণে বড় নির্ভরতার জায়গা হচ্ছে ব্যাংক। এবারই ব্যাংক ব্যবস্থা থেকে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৯৫ কোটি টাকা ঋণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরেছে সরকার। বিদায়ী ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংক ১ লাখ ৬ হাজাার ৩৩৪ কোটি টাকা ঋণণ নেওয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছিল। সংশোধিত বাজেটে তা বাড়িয়ে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪২৫ কোটি টাকা করা হয়েছে।

তবে নতুন বাজেটে সঞ্চয়পত্র থেকেও ধারের অঙ্ক কমিয়েছেন অর্থমন্ত্রী। এবার এই খাত থেকে ১৮ হাজার কোটি টাকা ধার করার পরিকল্পনা করেছেন। বিদায়ী বাজেটে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সংশোধিত বাজেটে তা কমিয়ে ২০ হাজার কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়েছে।

নতুন বাজেটে অন্যান্য খাত থেকে আরও ৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ নেয়ার লক্ষ্য ধরা হয়েছে।

 

৭ মাস ধরে কমছে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি পূর্ববর্তী

৭ মাস ধরে কমছে বেসরকারি ঋণের প্রবৃদ্ধি

কমেন্ট