আসছে ‘টাকা পে’, ভারতে গিয়ে রূপিতে কেনাকাটার সুযোগ
প্রতীকি ছবি
আসছে ডেডিট কার্ড ‘টাকা পে’। আগস্টের মধ্যেই দেশে চালু হবে এই কার্ড। এটি দিয়ে দেশের ভেতরে কেনাকাটাসহ বিভিন্ন বিল পরিশোধ করা যাবে। আবার পাশের দেশ ভারত ভ্রমণের সময় রুপিতে খরচ করার সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা। ডলার সাশ্রয়ে এ উদ্যোগ নিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রোববার ১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথমার্ধের (জুলাই-ডিসেম্বর) মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় তিনি এ তথ্য জানান গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার।
তিনি বলেন, “চিকিৎসা, ভ্রমণসহ বিভিন্ন কাজে প্রতি বছর বাংলাদেশ থেকে অনেকে ভারতে যান। এ জন্য মার্কিন ডলার কিনে ভারতে গিয়ে রুপিতে রূপান্তর করতে হয়। এতে ভ্রমণকারীকে প্রায়ই বিনিময় হারজনিত লোকসানে পড়তে হয়। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য ‘টাকা পে’ নামে ডেবিট কার্ড চালু করা হবে।”
“আমরা টাকার একটি পে-কার্ড চালু করছি। এটাকে ভারতের রুপির সঙ্গে সংযুক্ত করে দেবো। এ কার্ড থাকলে গ্রাহকরা বাংলাদেশে ডেবিট কার্ড হিসেবে ব্যবহার করতে পারবেন। যে কোনো কেনাকাটা করতে পারবেন।
“আবার যখন ভারতে যাবেন তখনও এই কার্ড দিয়েই ভ্রমণ কোটায় ১২ হাজার ডলার খরচ করতে পারবেন। ফলে দুইবার মানি চেঞ্জে যে লস (লোকসান) হচ্ছে, তা আর হবে না। অর্থাৎ ভ্রমণে যেতে হলে প্রথমে টাকা থেকে ডলারে কনভার্ট করতে হয়, পরে ভারতে গিয়ে ডলার রুপিতে কনভার্ট করতে হয়। টাকার পেকার্ড নিলে দুইবার মানি চেঞ্জ করতে হবে না।
“এতে করে কমপক্ষে ৬ শতাংশের মতো খরচ কমবে। ভারতে প্রতি বছর অনেক বাংলাদেশি পর্যটক ঘুরতে যান। চিকিৎসা ও শিক্ষার জন্যও যান অনেকে। এতে আমাদের অনেক ডলার বেঁচে যাবে।”
আগস্টের মধ্যে এই কার্ড চালুর ঘোষণা দিয়ে গভর্নর বলেন, “ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এই কার্ড ইস্যু করবে। এই কার্ডে সরাসরি রুপি নিয়ে ভারতে গিয়ে খরচ করা যাবে। এতে করে আর বিনিময় হারজনিত লোকসান হবে না। এই ডেবিট কার্ডধারীরা ভারতের পাশাপাশি বাংলাদেশেও পেমেন্ট করতে পারবেন।”
“এটা কারেন্সি সোয়াপ হবে না। কারণ কারেন্সি সোয়াপ হলো এক দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক অন্য দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে যে ডলার ধার করে। এখানে গ্রাহক লেনদেন করবে।”
আন্তর্জাতিক এক সংস্থার হিসাব অনুযায়ী, যেসব দেশ থেকে বেশি সংখ্যায় পর্যটক ভারতে গেছেন, তার শীর্ষে আছে বাংলাদেশ। ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ২১ লাখ ৫৬ হাজার ৫৫৭ জন বাংলাদেশী পর্যটক ভিসায় ভারতে গেছেন।
গভর্নর রউফ তালকদার বলেন বলেন, “ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক বাণিজ্য ১৮ বিলিয়ন হলেও অনানুষ্ঠানিক বাণিজ্য রয়েছে ৯ বিলিয়ন ডলারের মত।”
মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান, একেএম সাজেদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের ও বিএফআইইউর প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস।
শুরুতে মুদ্রানীতির ওপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমান। এ সময় বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বর্তমান গভর্নর যোগদানের পর এটা দ্বিতীয় মুদ্রানীতি।
মুদ্রানীতি ঘোষণা অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি গভর্নর আহমেদ জামাল, কাজী ছাইদুর রহমান, একেএম সাজেদুর রহমান, আবু ফরাহ মো. নাছের ও বিএফআইইউর প্রধান মো. মাসুদ বিশ্বাস। শুরুতে মুদ্রানীতির ওপর একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন প্রধান অর্থনীতিবিদ ড. হাবিবুর রহমান। এ সময় বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমেন্ট