আর্থিক প্রতিষ্ঠান: আমানতে সুদ ৯.১৩, ঋণে ১২.১৩ শতাংশ

আর্থিক প্রতিষ্ঠান: আমানতে সুদ ৯.১৩, ঋণে ১২.১৩ শতাংশ

রাজধানীর মতিঝিলে বাংলাদেশ ব্যাংক ভবন। ফাইল ছবি

ব্যাংকের মতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহার গণনায়ও নতুন নিয়ম চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত ও ঋণের সুদহার বাড়বে।

নতুন পদ্ধতিতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ সুদে আমানত নিতে পারবে। আর তাদের ঋণ বা বিনিয়োগে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ।

এ ছাড়া অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) এবং ভোক্তা ঋণের আওতাধীন ব্যক্তিগত ঋণ ও গাড়ি ক্রয় ঋণে আরও ১ শতাংশ তদারকি মাশুল যুক্ত করা যাবে। ফলে এসব ঋণে সুদহার হবে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।

বাংলাদেশ ব্যাংক মঙ্গলবার এ–সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে।

সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো এই সার্কুলারে বলা হয়েছে, নতুন নির্দেশনা ১ জুলাই থেকে কার্যকর হবে।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, সুদহার নির্ধারিত হবে ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের ওপর। সেই সুদ কত হবে, তা-ও জানিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে, ১৮২ দিন মেয়াদি ট্রেজারি বিলের গড় সুদের হার হবে ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। যার নাম দেওয়া হয়েছে, সিক্স মানথ মোভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল বা স্মার্ট।

সার্কুলারে বলা হয়েছে, এই সুদ হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ মার্জিন যোগ করে আমানত সংগ্রহ করতে পারবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এ হিসাবে স্মার্ট পদ্ধতিতে বা হিসাবে আমানতের সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ১৩ শতাংশ।

ঋণ বা বিনিয়োগে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ মার্জিন যোগ করে ঋণ বিতরণ করতে পারবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো। এ হিসাবে তাদের ঋণ বা বিনিয়োগে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১২ দশমিক ১৩ শতাংশ।

এ ছাড়া অতিক্ষুদ্র, ক্ষুদ্র, কুটির ও মাঝারি শিল্প (সিএমএসএমই) এবং ভোক্তা ঋণের আওতাধীন ব্যক্তিগত ঋণ ও গাড়ি ক্রয় ঋণে আরও ১ শতাংশ তদারকি মাশুল যুক্ত করা যাবে। ফলে এসব ঋণে সুদহার হবে সর্বোচ্চ ১৩ দশমিক ১৩ শতাংশ।

বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠান তাদের কাছে রাখা আমানতের ওপর সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ ও বিতরণ করা ঋণে সর্বোচ্চ ১১ শতাংশ সুদ দিতে বা নিতে পারে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে, কোনো সুদ আরোপ করার পর ছয় মাসের মধ্যে তা পরিবর্তন করা যাবে না। এর মধ্যে সুদহার বাড়লেও ব্যাংক থেকে গ্রাহকের সুদ বাড়ানো যাবে না। আবার সুদহার কমলেও গ্রাহকের সুদ কমবে না।

ব্যাংকগুলোর ক্ষেত্রে শুধু ঋণের সুদহার নির্ধারণ করা হলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে আমানত ও ঋণের সুদহার নির্ধারণ করে দেওয়া হলো। বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, অনেক দুর্বল প্রতিষ্ঠান ঝুঁকি সত্ত্বেও বেশি সুদে আমানত নিয়ে কম সুদে ঋণ দেয়। এ জন্য দুটো সুদহারই নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

২০২০ সালের এপ্রিলে ব্যাংক উদ্যোক্তা ও ব্যবসায়ীদের উদ্যোগে ঋণের ক্ষেত্রে ৯ শতাংশ সুদহার কার্যকর হয়। বাংলাদেশ ব্যাংক ৯ শতাংশ সুদহার বেঁধে দিয়ে সার্কুলার জারি করে।

আর গত বছরের জুলাই থেকে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আমানত ও ঋণে ৭ ও ১১ শতাংশ সুদহার কার্যকর হয়।

বর্তমানে দেশে আর্থিক প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৩৪টি। এর মধ্যে ১০টির মতো প্রতিষ্ঠান সংকটে পড়েছে। গ্রাহকদের জমানো টাকা তারা সময়মতো ফেরত দিতে পারছে না।

ঋণ পরিশোধে আবার ছাড় পরবর্তী

ঋণ পরিশোধে আবার ছাড়

কমেন্ট