স্মার্ট সুদহারের অভিজ্ঞতা নিতে ভারত গেলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৯ কর্মকর্তা

স্মার্ট সুদহারের অভিজ্ঞতা নিতে ভারত গেলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ৯ কর্মকর্তা

বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি জুলাই মাস থেকে স্মার্ট সুদহার নামে নতুন নিয়ম চালু করেছে। স্মার্ট হলো সিক্স মান্থস মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল। প্রতি মাসের শুরুতে এই হার জানিয়ে দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। মে মাসে স্মার্ট ছিল ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ, যা জুনে কমে হয়েছে ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। 

এদিকে ঋণের সুদহার বাড়ানো শুরু করেছে ব্যাংকগুলো। গ্রাহক ভেদে ঋণের সুদহার বছরে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ১৩ শতাংশ পর্যন্ত বেড়েছে। ইতিমধ্যে নতুন সুদহার আরোপ করে বাড়তি কিস্তিও কাটা শুরু হয়েছে। গ্রাহককে আগাম কোনো তথ্য জানানো হয়নি। 

প্রতি মাসে ঋণের কিস্তি দিতে হয়, এমন যাদের ব্যাংকঋণ রয়েছে, তাদের চলতি মাসের কিস্তিতে বাড়তি টাকা দিতে হবে। আবার কিছু ব্যাংক অপেক্ষা করছে পরিস্থিতি বুঝে ওঠার জন্য। তবে ব্যাংকগুলো ঋণের সুদ যেভাবে বাড়িয়েছে, আমানতের সুদে সেভাবে হাত দেয়নি। তারল্য পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে অনেক ব্যাংক পরবর্তী সময়ে আমানতের সুদহার বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। 

কোনো ব্যাংক মে মাসের হার ও কোনো ব্যাংক জুন মাসের হারকে বিবেচনায় নিয়ে জুলাই থেকেই নতুন সুদ নির্ধারণ করছে। আর সুদহার নির্ধারণে বেশির ভাগ ব্যাংক একেবারে সর্বোচ্চ সীমাকে বেছে নিয়েছে। 

এমন 'বিশৃঙ্খল অবস্থা'র মধ্যে ‘স্মার্ট সুদহার’ বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে ভারত গেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের একটি প্রতিনিধি দল। 

নয় সদস্যের এ প্রতিনিধি দল এ বিষয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) অভিজ্ঞতা নেবেন। রোববার দুপুরে তারা ঢাকা ছেড়েছেন। 

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান অর্থনীতিবিদ হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলটি সোম থেকে বুধবার পর্যন্ত তিন দিন সেখানে প্রশিক্ষণ নেবেন বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে। 

প্রতিনিধি দলে রয়েছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি বিভাগের তদারকির দায়িত্বে থাকা নির্বাহী পরিচালক (গবেষণা) এজাজুল ইসলাম, মুদ্রানীতি বিভাগের পরিচালক আব্দুল কাউয়ুমসহ মুদ্রানীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সংশ্লিষ্ট ছয় কর্মকর্তা। 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শ মেনে আর্থিক খাতে সংস্কারের অনেক উদ্যোগের মধ্যে সুদহার সীমা ৯ শতাংশ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। 

গত ১৮ জুন  ঘোষিত জুলাই-ডিসেম্বর সময়ের মুদ্রানীতিতে বাংলাদেশ ব্যাংক ঋণের সুদহারের সীমা ৯ শতাংশ তুলে দিয়ে সুদহার করিডোর পদ্ধতি অনুসরণ করে রেফারেন্স রেট চালু করে। মুদ্রানীতির আগের কাঠামোতে থাকা ‘মনিটারি টার্গেটিং’ নীতি পরিবর্তন তরে ‘ইন্টারেস্ট রেট টার্গেটিং’ নীতি চালু করা হয়। 

আরবিআই অনেক আগে থেকে রেফারেন্স রেট পদ্ধতি চালু করেছে। ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ঘোষিত মুদ্রানীতিতে রেপো সুদহারকে পলিসি রেট হিসেবে বর্ণনা করেছে। আর রিভার্স রোপোকে ‘স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি’ (এসডিএফ) বলে আসছে। 

একইভাবে বাংলাদেশ ব্যাংকও মুদ্রানীতিতে কলমানিতে সুদহার করিডোরের নিম্নসীমা রিভার্স রোপো এর নাম বদলে ‘স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি’ (এসডিএফ) করেছে।

‘গাড়িচালক বুয়ার নামেও ঋণ নেওয়া হয়েছে’ পরবর্তী

‘গাড়িচালক বুয়ার নামেও ঋণ নেওয়া হয়েছে’

কমেন্ট