এবার কৃষি ঋণের লক্ষ্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা

এবার কৃষি ঋণের লক্ষ্য ৩৫ হাজার কোটি টাকা

এবারের নীতিমালায় ছাদ কৃষি, কাঁকড়া, কুঁচে চাষে ঋণ বিতরণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে। ফাইল ছবি

চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর কৃষি খাতে ৩৫ হাজার কোটি টাকা ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের চেয়ে ১৩ দশমিক ৬০ শতাংশ বেশি।

২০২২-২৩ অর্থবছরের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার ৮১১ কোটি টাকা।

রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের সভাকক্ষে নতুন নীতিমালা ঘোষণা করেন ডেপুটি গভর্নর একেএম সাজেদুর রহমান। পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতি বিবেচনায় কৃষি খাতে ঋণ বিতরণে ব্যাংকগুলোকে গুরুত্ব দেওয়ার নির্দেশ দেন তিনি। 

এসময় উপ‌স্থিত ছি‌লেন কৃষি ঋণ বিভাগের প‌রিচালক কা‌নিজ ফা‌তেমা, প‌রিচালক দেবাশীষ সরকারসহ বি‌ভিন্ন বা‌ণি‌জ্যিক ব্যাং‌কের প্রধান নির্বাহী ও ব্যবস্থাপনা প‌রিচালকরা। 

এবারের নীতিমালায় ছাদ কৃষি, কাঁকড়া, কুঁচে চাষে ঋণ বিতরণের বিষয়টি যুক্ত করা হয়েছে।

এবার কৃষি ও পল্লী ঋণের চাহিদা বিবেচনায় মোট লক্ষ্যমাত্রার মধ্যে রাষ্ট্র মালিকানাধীন বাণিজ্যিক ও বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোকে ১২ হাজার ৩০ কোটি টাকা বিতরণের লক্ষ্য ঠিক করে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। 

বেসরকারি ব্যাংকগুলোর জন্য ২১ হাজার ৯২৩ কোটি টাকা কৃষি এবং বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংককে এক হাজার ৪৭ কো‌টি টাকা কৃষি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে। 

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যাংকগুলো মোট ৩২ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণ করেছে, যা অর্থবছরের মোট লক্ষ্যমাত্রার ১০৬ দশমিক ৫৫ শতাংশ।

এবারের নীতিমালায় বলা হয়েছে, পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতিতে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়টি বিবেচনা করে ব্যাংকগু‌লোকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কৃষি খাতে ঋণ বিতরণ করতে হবে। বা‌ণি‌জ্যিক ব্যাংকগু‌লোর লক্ষ্যমাত্রার বাইরে বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংক লিমিটেড এবং বাংলাদেশ পল্লি উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি) তাদের নিজস্ব অর্থায়নে যথাক্রমে ২৬ কোটি ও এক হাজার ৪২৩ কোটি টাকা কৃষি ও পল্লি ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। 

ঋণ বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য ব্যাংকগু‌লো‌কে নিজস্ব নেটওয়ার্ক (শাখা, উপশাখা, এজেন্ট ব্যাংকিং, কন্ট্রাক্ট ফার্মিং, দলবদ্ধ ঋণ বিতরণ) এবং ব্যাংক-এমএফআই লিংকেজ ব্যবহার করতে পারবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকের নিজস্ব নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ৫০ শতাংশ হতে হবে। আগে তা ছিল ৩০ শতাংশ। 

২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের কৃষি ও পল্লি ঋণ নীতিমালা ও কর্মসূচিতে নতুন ক‌রে বেশ‌কিছু বিষয় যুক্ত করা হ‌য়েছে। 

নতুন কৃষকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ঋণ বিতরণ কর‌তে হ‌বে। পল্লি অঞ্চলে আয়-উৎসারী কর্মকাণ্ডে ঋণের সর্বোচ্চ সীমা হ‌বে ৫ লাখ টাকা। ছাদ কৃষিতে অর্থায়ন কর‌তে পার‌বে ব্যাংক। অর্থাৎ বা‌ড়ির ছা‌দে বাগান কর‌তে ঋণ পা‌বেন গ্রাহক। এছাড়া ভেনামি চিংড়ি, কাঁকড়া ও কুচিয়া চাষে ঋণ বিতরণ কর‌তে পার‌বে। 

মৎস্য খাতে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৩ শতাংশ এবং প্রাণিসম্পদ খাতে লক্ষ্যমাত্রার ন্যূনতম ১৫ শতাংশ ঋণ বিতরণ কর‌তে হ‌বে।

ঋণের দলিলে বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ নিতে হবে পরবর্তী

ঋণের দলিলে বৃদ্ধাঙ্গুলির ছাপ নিতে হবে

কমেন্ট