খোলাবাজারে ডলার ১১৮ টাকা

খোলাবাজারে ডলার ১১৮ টাকা

রোববার রাজধানীর পল্টন ও গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১১৭ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে; গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার আরও বেশি ১১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

কার্ব মার্কেট বা খোলাবাজারে ডলারের দর ফের চড়ছে। রোববার রাজধানীর পল্টন ও গুলশানসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রতি ডলার সর্বোচ্চ ১১৭ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে; গত সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার আরও বেশি ১১৮ টাকায় বিক্রি হয়েছিল।

মতিঝিলের খোলাবাজারের এক ডলার ব্যবসায়ী নাম প্রকাশ করা করার শর্তে এআরএইচ ডটকমকে বলেন, “বাজারে ডলারের সরবরাহ কম। সে কারণে দাম বাড়ছে। বৃহস্পতিবার ১১৮ টাকায় প্রতি ডলার বিক্রি করেছিলাম। আজ (রোববার) একটু কম ১১৭ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি করেছি।”

রোববার আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারে প্রতি ডলার ১০৯ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে। গত দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে এক ব্যাংক আরেক ব্যাংক থেকে এই দরে ডলার কেনাবেচা করছে।বাংলাদেশ ব্যাংক ‘বিশেষ প্রয়োজন’ রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কাছে রিজার্ভ থেকে যে ডলার বিক্রি করছে, তা-ও এই দরে বিক্রি করছে।

তার আগে দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে অর্থাৎ রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার পর থেকেই পাগলা ঘোড়ার মত ছুঁটেছে ডলার; কমেছে টাকার মান। অর্থাৎ দুর্বল হয়েছে টাকা। শক্তিশালী হয়েছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশ যুক্তরাষ্ট্রের মুদ্রা ডলার।

২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা করে। তার আগে জানুয়ারির শুরুতে ডলারের বিনিময় মূল্য ছিল ৮৬ টাকা। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, গত দেড় বছরে আন্তঃব্যাংক মুদ্রা বাজারে টাকার বিপরীতে ডলারের দর বেড়েছে ২৭ দশমিক ৩২ শতাংশ।

তারও আগে প্রায় দেড় বছর ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায় ‘স্থির’ ছিল ডলারের দর।

আন্তঃব্যাংক মুদ্রাবাজারের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে খোলাবাজারেও ডলারের দর বেড়েছে। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি সময়ে কার্ব মার্কেটে ডলারের দর ১০০ টাকা ছাড়ায়। এর পর ছুঁটতে ছুঁটতে আগস্ট ১০ আগস্ট ১২০ টাকায় উঠে।

এর পর এক বছরের বেশি সময় ১১১ থেকে ১১৫ টাকার মধ্যে খোলাবাজারে ডলার কেনাবেচা হয়েছে। চলতি আগস্ট মাসের প্রথম দিকে ডলারের দর ১১৫ টাকা ছাড়ায়। এর পর বৃহস্পতিবার ১১৮ টাকায় ওঠে। রোববার ১১৭ টাকা ৫০ পয়সায় বিক্রি হয়েছে।

এবার যুক্তরাষ্ট্রের ৫ ব্যাংকের ঋণমান কমাল এসঅ্যান্ডপি পরবর্তী

এবার যুক্তরাষ্ট্রের ৫ ব্যাংকের ঋণমান কমাল এসঅ্যান্ডপি

কমেন্ট