মিয়ানমারের সেই ২ ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন নয়: বাংলাদেশ ব্যাংক
সম্প্রতি সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীীদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নির্দেশনা দিয়েছে।
মিয়ানমারের সেই দুই ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন না করতে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্প্রতি সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীীদের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ নির্দেশনা দিয়েছে।
ব্যাংক দুটি হলো মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংক (এমএফটিবি) মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংক (এমআইসিবি)।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, ব্যাংক দুটির ওপর ওফাকের নিষেধাজ্ঞা আরোপ হওয়ার নিজেদের ঝুঁকি বিবেচনায় এসব ব্যাংকের সঙ্গে আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকা এবং সার্বিকভাবে নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে হালনাগাদ তথ্য সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে উপযুক্ত সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ প্রদান করা হলো।
মার্কিন ট্রেজারি ডিপার্টমেন্টের একটি আর্থিক গোয়েন্দা সংস্থা অফিস অব ফরেন অ্যাসেটস কন্ট্রোল এই মিয়ানমারের ওই দুই ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিল।
ওই সময় দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ বিভাগের এক বিবৃতিতে বলা হয়, নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা রুশ প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন বিদেশি উৎস থেকে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী অস্ত্রশস্ত্র, সরঞ্জাম ও অস্ত্র তৈরির কাঁচামাল কেনা ও আমদানি করে থাকে। এসব অস্ত্র ব্যবহার করে তারা ‘নৃশংস নিপীড়ন’ চালায়।
সম্প্রতি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংককে মিয়ানমারের দুটি ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে অনুরোধ জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র। সামরিক শাসনাধীন দেশটির ওই দুটি ব্যাংক বর্তমানে মার্কিন সরকারের নিষেধাজ্ঞার আওতায় রয়েছে।
গত জুন মাসে মিয়ানমারের রাষ্ট্রায়ত্ব এই দুই ব্যাংকের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের বেশিরভাগই হয় সোনালী ব্যাংকের মাধ্যমে।
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে ওই ব্যাংক দুটিতে সোনালী ব্যাংকের হিসাব বন্ধের আবেদন জানায়। ৩ আগস্ট পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সোনালী ব্যাংকের কাছে চিঠি পাঠিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দেয়।
এই পরিস্থিতি দেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকটিকে কঠিন অবস্থানে ফেলেছে। মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংকে সোনালী ব্যাংকের ১৭ হাজার ডলার জমা ডলার আছে। আর মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকে আছে ২ লাখ ডলার।
অন্যদিকে মিয়ানমার ফরেন ট্রেড ব্যাংকের ১ লাখ ডলার এবং মিয়ানমার ইনভেস্টমেন্ট অ্যান্ড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১ মিলিয়ন ডলার জমা রয়েছে সোনালী ব্যাংকে।
এ ব্যাপারে সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম এআরএইচ ডটকমকে বলেন, “হিসাবগুলোতে আপাতত কোনো লেনদেন হচ্ছে না। টাকাগুলো এখন জব্দ অবস্থায় আছে। তার মানে তারা টাকাগুলো তুলতে বা স্থানান্তর করতে পারবে না।”
তিনি বলেন, “পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের চিঠির পর আমরা এ ব্যাপারে কী ব্যবস্থা নেবো- সে বিষয়ে পরামর্শ চেয়ে বাংলাদেশ ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের মতামত জানতে চেয়েছিলাম। কেন্দ্রীয় ব্যাংক মিয়ানমারের ওই দুই ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন না করার পরামর্শ দিয়েছে।”
কমেন্ট