মুদ্রানীতি প্রণয়ন কমিটিতে সাদিক আহমেদ
সাদিক আহমেদ
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি প্রণয়ন কমিটিতে বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) ভাইস চেয়ারম্যান ড. সাদিক আহমেদকে যুক্ত করা হয়েছে।
অর্থনীতিবিদ হিসেবে তিনি এই কমিটিতে যুক্ত হয়েছেন বলে মঙ্গলবার কেন্দ্রৗয় ব্যাংকের অভ্যন্তরীণ এক চিঠিতে জানানো হয়েছে।
গত ২২ অক্টোবর বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় মুদ্রানীতি প্রণয়ন কমিটি পুনর্গঠনের সিদ্ধান্ত হয়। এতদিন শুধু কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা এই কমিটিতে থাকতেন। এখন থেকে কমিটিতে বাইরে থেকে আরও তিনজনকে রাখার সিদ্ধান্ত হয়।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মুদ্রানীতি প্রণয়ন কমিটিতে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে গভর্নরসহ মুদ্রানীতি বিভাগের ডেপুটি গভর্নর, প্রধান অর্থনীতিবিদ ও নির্বাহী পরিচালক থাকবেন। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাইরে থেকে কমিটিতে থাকবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) মহাপরিচালক।
তাদের পাশাপাশি বাইরে থেকে একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদকে মুদ্রানীতি প্রণয়ন কমিটিতে রাখার সিদ্ধান্ত হয় পরিচালনা পর্ষদের সভায়।
সেই সিদ্ধান্তের আলোকেই পিআরআই ভাইস চেয়ারম্যান সাদিক আহমেদকে কমিটিতে রাখা হয়েছে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চিঠিতেেউল্লেখ করা হয়েছে।
অর্থনৈতিক সংকট নিরসনের মূল কাজ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের। আর মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হাতে থাকা মূল অস্ত্র হচ্ছে মুদ্রানীতির কার্যকর ব্যবহার। সাধারণত সুদের হার বাড়িয়ে বা কমিয়ে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ নিয়ন্ত্রণ করে মূল্যস্ফীতি সামাল দেওয়া হয়।
এই কাজ করে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুদ্রানীতি বিভাগ। প্রতিটি দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ হচ্ছে এটি। বাংলাদেশে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতিকে হাতিয়ার হিসেবে কম ব্যবহার করা হয়।
দেশের অর্থনীতিতে এখন সংকট চলছে। সবচেয়ে উদ্বেগজনক ও স্পর্শকাতর সূচক হচ্ছে মূল্যস্ফীতি। অক্টোবরে এই সূচক প্রায় ১০ শতাংশের কাছাকাছি—৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে উঠেছে। যা এক যুগ বা ১২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। খাদ্য মূল্যস্ফীতি সাড়ে ১২ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে।
এই সংকটের মাঝপথে এসে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার লক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুদ্রানীতি কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।
কমেন্ট