ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ছেই, ১২ শতাংশ ছুঁইছুঁই

ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ছেই, ১২ শতাংশ ছুঁইছুঁই

জানুয়ারিতে বড় অংকের ঋণের ক্ষেত্রে এই স্মার্ট সুদ হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদ যোগ করে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। অর্থাৎ এ মাসে ব্যাংক থেকে বড় অংকের ঋণে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

ব্যাংক ঋণের সুদহার বাড়ছেই। নতুন ঋণের ক্ষেত্রে নতুন বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে ‘স্মার্ট’ (সিক্স মান্থস মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল) সুদহার হবে ৮ দশমিক ১৪ শতাংশ।

বিদায়ী বছরের শেষ মাস ডিসেম্বরে এই সুদহার ছিল ৭ দশমিক ৭২ শতাংশ। নভেম্বরে ছিল ৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। অক্টোবরে ছিল ৭ দশমিক ২০ শতাংশ। সেপ্টেম্বরে ছিল ৭ দশমিক ১৪ শতাংশ।

জানুয়ারিতে বড় অংকের ঋণের ক্ষেত্রে এই স্মার্ট সুদ হারের সঙ্গে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ সুদ যোগ করে ঋণ দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। অর্থাৎ এ মাসে ব্যাংক থেকে বড় অংকের ঋণে সর্বোচ্চ সুদহার হবে ১১ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

ট্রেজারি বিলের সুদ হারের ছয় মাসের গড় করে বাংলাদেশ ব্যাংক জানুয়ারি মাসের এই ‘স্মার্ট’ রেট হিসাব করেছে। যা রোববার বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) পরামর্শে ব্যাংক ঋণে সুদ হারের ৯ শতাংশের সীমা তুলে নিয়ে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে এই ‘স্মার্ট’সুদহার করিডোর চালু করা হয়।

অর্থবছরের প্রথম দুই মাস জুলাই ও আগস্টে এই সুদহার ছিল একই—৭ দমিক ১০ শতাংশ।

নিয়ম অনুযায়ী, মাস শুরুর আগের দিন আগের মাসের ‘স্মার্ট’রেট জানিয়ে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার থেকে জানুয়ারি মাস শুরু হবে; সে হিসাবে রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ওয়েবসাইটে ডিসেম্বর মাসের ‘স্মার্ট’ রেট প্রকাশ করা হয়েছে।

এই হার জানুয়ারি মাসে দেওয়া নতুন ঋণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে। গ্রাহকদের ক্ষেত্রে ছয় মাসের জন্য এই সুদহার কার্যকর থাকবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক আশা করছে, সুদ হার বাড়ায় মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরা সহজ হবে। আর নতুন নিয়ম চালু হওয়ার পর অনেক ব্যাংকেই আমানতের সুদহার বাড়াতে শুরু করেছে।

নীতিমালা অনুযায়ী, কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদহার সাধারণ ঋণের চেয়ে ১ শতাংশ কম হবে। সেক্ষেত্রে ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ মার্জিন যোগ হবে।

দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে উদ্বেগজনক সূচক মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে গত ২৬ নভেম্বর সব ধরনের নীতি সুদহার আরেক দফা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলোর ধারের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত রেপো ও স্পেশাল রেপোর সুদহার ৫০ শতাংশীয় পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৭৫ এবং ৯ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে।

গত মাসে উভয় ক্ষেত্রে শতাংশীয় ৭৫ পয়েন্ট বাড়ানো হয়। এ নিয়ে বিদায়ী বছর চার দফায় বাড়ল ২ শতাংশীয় পয়েন্ট।

একই দিন গ্রাহক পর্যায়েও সুদহার বাড়াতে ‘স্মার্ট’ রেটের সঙ্গে মার্জিনের হার ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ করা হয়েছে।

পরের দিন ২৭ নভেম্বর এক সার্কুলার জারি করে প্রি-শিপমেন্ট রপ্তানি ঋণ এবং কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে ‘স্মার্ট’এর সাথে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ মার্জিন যোগ করে সুদহার নির্ধারণ করতে হবে বলে ব্যাংকগুলোকে নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

তাতে ডিসেম্বরে নেওয়া এ সব খাতের ঋণের সুদহার আগামী ছয় মাসের জন্য হবে ১০ দশমিক ৮৯ শতাংশ।

‘স্মার্ট’সুদহার করিডোর নীতিমালা অনুযায়ী, কৃষি ও পল্লী ঋণের সুদহার সাধারণ ঋণের চেয়ে ১ শতাংশ কম হবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ১২৮ দিন মেয়াদি টেজ্রারি বিলের ৬ মাসের সুদহার প্রকাশ করছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে, গত জানুয়ারিতে ‘স্মার্ট’সুদহার ছিল ৬ দশমিক ৯৬ শতাংশ।

এর পর প্রতি মাসেই একটু একটু করে বেড়ে মে মাসে এই সুদহার বেড়ে দাঁড়ায় ৭ দশমিক ১৩ শতাংশ। জুন মাসে এই সুদ হার ছিল ৭ দশমিক ১০ শতাংশ।

ভোটের দিন ব্যাংক-পুঁজিবাজার বন্ধ পূর্ববর্তী

ভোটের দিন ব্যাংক-পুঁজিবাজার বন্ধ

এক বছরে অবলোপন করা ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা পরবর্তী

এক বছরে অবলোপন করা ঋণ বেড়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা

কমেন্ট