অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে নতুন তহবিল দিতে পারবে না ব্যাংক

অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে নতুন তহবিল দিতে পারবে না ব্যাংক

ব্যাংকপাড়া হিসেবে পরিচিত মতিঝিলের শাপলা চত্বর। ফাইল ছবি

এখন থেকে মূল ব্যাংক থেকে আর অফশোর ব্যাংকিং ইউনিটে নতুন করে তহবিল দিতে পারবে না ব্যাংকগুলো। আগে দেওয়া তহবিল আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে সমন্বয় করতে হবে।

মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা ব্যাংকগুলোতে পাঠানো হয়েছে। এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর করতে বলা হয়েছে।

অফশোর ব্যাংকিং হলো- দেশের বাইরে থেকে বৈদেশিক মুদ্রায় তহবিল সংগ্রহ করে রফতানিমুখী প্রতিষ্ঠানের মাঝে ঋণ বিতরণের জন্য গঠিত আলাদা ইউনিট। ১৯৮৫ সালে অফশোর ব্যাংকিংয়ের অনুমোদন দেওয়া হলেও নীতিমালা জারি হয় ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি।

নতুন নীতিমালায় বলা হয়, বিদেশ থেকে তহবিল সংগ্রহ করেই এ ইউনিট পরিচালিত হবে। তবে একটি ব্যাংক তার মূলধনের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ অফশোর ব্যাংকিংয়ে দিতে পারবে। পরবর্তীতে করোনাসহ বিবিন্ন কারণে ৩০ শতাংশ তহবিল দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।

মঙ্গলবারের সার্কুলারে বলা হয়েছে, ডমেস্টিক ব্যাংকিং হতে অফশোর ব্যাংকিংয়ে তহবিল স্থানান্তরের সীমা ব্যাংকের মোট রেগুলেটরি মূলধনের সর্বোচ্চ ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। পরবর্তীতে আরেক সার্কুলারের মাধ্যমে যা ৩০ শতাংশ পুনঃনির্ধারণ করা হয়।

তবে কিছু ব্যাংকের ডমেস্টিক ব্যাংকিং হতে অফশোর ব্যাংকিংয়ে স্থানান্তরিত তহবিল নির্ধারিত সীমার বেশি থাকায় ৩০ শতাংশের মধ্যে নামিয়ে আনতে ২০২১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়।

নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে, “বৈদেশকি মুদ্রা ব্যবস্থাপনায় অধিকতর গতিশীলতা আনা এবং ব্যাংকের অফশোর ব্যাংকিংকে ডমেস্টিক ব্যাংকিংয়ের ওপর নির্ভরশীলতা কমানোর লক্ষ্যে ব্যাংকের তহবিল স্থানান্তর রহিত করা হলো।”

“ইতোপূর্বে অফশোর ব্যাংকিংয়ে স্থানান্তরিত তহবিল পর্যায়ক্রমে কমানোর মাধ্যমে চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পূর্ণভাবে সমন্বয়ের নির্দেশ দেওয়া হলো।”

এ নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বলবৎ থাকবে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।

 

চার চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে মুদ্রানীতি ঘোষণা বুধবার পরবর্তী

চার চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে মুদ্রানীতি ঘোষণা বুধবার

কমেন্ট