ছাগল পালনেও মিলবে ৪% সুদে ঋণ
এতদিন কেবল গরু মোটাতাজাকরণ, পোল্ট্রি, দুগ্ধ উৎপাদন এবং শস্য ও ফসল চাষে এই তহবিল থেকে ঋণ মিলত।
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গঠিত ৫ হাজার কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে ছাগল ও গাড়ল পালনেও ৪ শতাংশ সুদে ঋণ পাওয়া যাবে। এছাড়া ভেড়া পালনেও একই সুদে মিলবে ঋণ।
এতদিন কেবল গরু মোটাতাজাকরণ, পোল্ট্রি, দুগ্ধ উৎপাদন এবং শস্য ও ফসল চাষে এই তহবিল থেকে ঋণ মিলত।
একই সঙ্গে এই তহবিলের মেয়াদ ৬ মাস বাড়িয়ে আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি ঋণ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আব্দুর রউফ তালুকদার গভর্নরের দায়িত্ব নেওয়ার পর ২০২২ সালের নভেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিজস্ব উৎস থেকে কৃষি খাতের জন্য ৫ হাজার কোটি টাকার এই তহবিল গঠন করা হয়। এর নাম দেওয়া হয় ‘খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কৃষি খাতের জন্য পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’।
তহবিলের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল আগামী ৩০ জুন। তবে বৃহস্পতিবারের সার্কুলারে স্কিমের মেয়াদ বাড়িয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, চুক্তিবদ্ধ ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান এ তহবিল থেকে মাত্র শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ সুদে তহবিল নিয়ে গ্রাহক পর্যায়ে সর্বোচ্চ ৪ শতাংশ সুদে বিতরণ করতে পারবে। এ তহবিল থেকে গরু মোটাতাজাকরণ, পোল্ট্রি ও দুগ্ধ উৎপাদন, ধান, শাক–সবজি, ফল, ফুল চাষের জন্য ঋণ নেওয়া যায়।
প্রাণী সম্পদে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা এবং শস্য ও ফসল চাষে জামানতবিহীন ২ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারবে ব্যাংক। এসবের বাইরে অন্যান্য খাতে ব্যাংকার–গ্রাহক সম্পর্কের ভিত্তিতে ন্যূনতম জামানত বা সহ–জামানত বিষয়ে ব্যাংক সিদ্ধান্ত নেবে।
নতুন সার্কুলারে বলা হয়েছে, এই তহবিলের আওতায় যাতে অধিক সংখ্যক প্রকৃত চাষি/খামারি উপকৃত হয় সে লক্ষ্যে ইতোমধ্যে স্কিমটির আওতায় খাতসমূহের পাশাপাশি ‘কন্দাল ফসল’ চাষ এবং ‘ছাগল/ভেড়া/গাড়ল পালন’ খাত অন্তর্ভুক্ত করা হলো।
কমেন্ট