জরিমানা ছাড়াই দেওয়া যাবে ঋণ-ডিপিএসের কিস্তি, ক্রেডিট কার্ডের বিল

জরিমানা ছাড়াই দেওয়া যাবে ঋণ-ডিপিএসের কিস্তি, ক্রেডিট কার্ডের বিল

বুধবার এ সংক্রান্ত দুটি সার্কুলার দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ফাইল ছবি

দেশের সহিংস পরিস্থিতি, কারফিউ এবং সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটির কারণে অনেক গ্রাহক নির্ধারিত তারিখের মধ্যে ঋণ ও সঞ্চয় স্কিমের কিস্তি দিতে পারেননি। যেসব গ্রাহক ১৮ থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে ঋণ, ক্রেডিট কার্ড ও সঞ্চয় স্কিমের কিস্তি দিতে পারেননি, তারা কোনো ধরনের জরিমানা বা বাড়তি সুদ ছাড়াই আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করতে পারবেন। কোনো ব্যাংক ইতোমধ্যে বাড়তি ফি নিলে তা সমন্বয় করতে হবে।

বুধবার এ সংক্রান্ত দুটি সার্কুলার দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

ব্যাংকগুলোর প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, দেশের সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে অনেক ঋণগ্রহীতা ও ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক বকেয়া অর্থ নির্ধারিত সময়ে পরিশোধ করতে পারেননি। অনেক আমানতকারি ডিপোজিট পেনশন স্কিম (ডিপিএস) সহ বিভিন্ন সঞ্চয়ী স্কিমের কিস্তি নির্ধারিত সময়ে জমা দিতে পারেননি। এ রকম অবস্থায় ১৮ জুলাই থেকে ২৫ জুলাই পর্যন্ত ঋণ ও ক্রেডিট কার্ডের পরিশোধযোগ্য অর্থ আগামী ৩১ জুলাইর মধ্যে পরিশোধ করলে বকেয়া অর্থের ওপর কোনো সুদ, দণ্ড সুদ, অতিরিক্ত সুদ, বিলম্ব ফি বা জরিমানা (যে নামেই অভিহিত করা হোক না কেন) আদায় করা যাবে না।

“ইতোমধ্যে কোনো ব্যাংক বিলম্ব ফি আদায় বা আরোপ করলে গ্রাহককে তা ফেরত বা সমন্বয় করতে হবে।”

এতে আরও বলা হয়েছে, ডিপিএসসহ বিভিন্ন সঞ্চয়ী স্কিমের কিস্তি ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করলে এ ক্ষেত্রেও কোনো বিলম্ব ফি বা জরিমানা আদায় করা যাবে না। এ সময়ে কোনো সঞ্চয়ী স্কিমের কিস্তি পরিশোধে গ্রাহকের অসমর্থতার কারণে তা বন্ধ বা বাতিল করা যাবে না। আবার পূর্বঘোষিত হারের তুলনায় কম সুদও দেওয়া যাবে না।

ব্যাংকের পাশাপাশি ব্যাংক বহির্ভুত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের জন্যও একই রকম একটি সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এই সার্কুলারে বলা হয়েছে, ১৮ থেকে ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে যেসব ঋণের কিস্তি দেওয়ার তারিখ থাকলেও যারা দিতে পারেননি আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে পরিশোধ করলে আর বাড়তি ফি, সুদ, দণ্ড সুদ যে নামেই অভিহিত করা হোক নেওয়া যাবে না। সঞ্চয় স্কিমেও এ সময়ের কিস্তি দিতে না পারলে বিলম্ব ফি নেওয়া যাবে না কিংবা সুদ কম দেওয়া যাবে না।

বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, এই সময়ে অনেকে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে চাইলেও পরিস্থিতির কারণে পারেননি। ফলে এই সময়ের দায় কোনোভাবে তাদের ওপর পড়তে পারে না। এ জন্য ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্দেশনার ফলে যেসব গ্রাহক এই সময়ে ব্যাংকে বা আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিল বা কিস্তির অর্থ জমা দিতে পারেননি, তাদের কোনো সমস্যা হবে না। টাকা জমা দিতে এখন তারা বাড়তি সময় পাচ্ছেন।

অনেক ব্যাংক ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এই নির্দেশনা এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহকদের জানিয়েছে দিয়েছে।

মূল্যস্ফীতি কমাতে আবারও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি পূর্ববর্তী

মূল্যস্ফীতি কমাতে আবারও সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি

মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে আসছে নতুন মুদ্রানীতি পরবর্তী

মূল্যস্ফীতির লাগাম টানতে আসছে নতুন মুদ্রানীতি

কমেন্ট