আগের সময়ে ফিরছে ব্যাংক ও পুঁজিবাজারের লেনদেন
বুধবার থেকে দেশের সকল ব্যাংকে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে। আর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্যাংকের দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে ছড়িয়ে পড়া সহিংস পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় সরকারি অফিস আদালতের মত ব্যাংক ও পুঁজিবাজারও স্বাভাবিক সূচিতে ফিরছে।
বুধবার থেকে দেশের সকল ব্যাংকে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে। আর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ব্যাংকের দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে।
মঙ্গলবার এক সার্কুলারে লেনদেন স্বাভাবিক সময়ে ফেরার কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সাকুলারটি সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে পাঁচ দিন সীমিত সময়ে লেনদেনের পর দেশের পুঁজিবাজারও স্বাভাবিক সূচিতে ফিরছে। বুধবার থেকে আগের মত সকাল ১০টায় লেনদেন শুরু হয়ে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত চলবে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) জনসংযোগ ও প্রকাশনা বিভাগের উপ-মহাব্যবস্থাপক শফিকুর রহমান এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “ব্যাংকগুলোতে বিকাল ৪টা পর্যন্ত লেনদেন হলে পুঁজিবাজারেও আড়াইটা পর্যন্ত লেনদেন হবে, আমাদের সে প্রস্তুতি আছে।”
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ায় গত ১৮ জুলাই থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত ব্যাংক বন্ধ রাখা হয়। এই সময়ে কারফিউও জারি করে সরকার।
এরপর গত ২৪ জুলাই থেকে সীমিত পরিসরে ব্যাংক চালু হলেও লেনদেনের সময় কমিয়ে আনা হয়। সবশেষ মঙ্গলবার ব্যাংক লেনদেন চলে সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত।
মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে সরকারি অফিসের সময়সীমা আগের মতো সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সময়ে ফেরার কথা জানায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
এর পরপরই ব্যাংকিং লেনদেনের সময়সীমা স্বাভাবিক নিয়মে ফিরিয়ে এনে সার্কুলার জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব অফসাইট সুপারভিশন বিভাগ।
এতে বলা হয়, এখন থেকে ব্যাংকের লেনদেন হবে সকাল ১০ টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। কর্মীদের ব্যাংকে উপস্থিত থাকতে হবে বিকাল ৬টা পর্যন্ত। রবিবার থেকে বৃহষ্পতিবার ব্যাংক খোলা থাকবে। শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটিতে ব্যাংক লেনদেন বন্ধ থাকবে।
এছাড়া সমুদ্র, স্থল ও বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থিত ব্যাংকের শাখা/উপশাখা/বুথগুলো সবসময় চালুরাখার বিষয়ে আগের নির্দেশনা বলবৎ থাকবে বলেও সার্কুলারে উল্লেখ করা হয়েছে।
কমেন্ট