সব পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা
বিজিএমইএর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় শ্রমিক কর্মচারী ভাইবোনদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল পোশাক শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার জন্য মালিক ভাইবোনদের অনুরোধ করা হল।”
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে সর্বাত্মক অসহযোগের প্রথম দিন ব্যাপক সহিংসতার প্রেক্ষাপটে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাকের সব কারখানা বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে এ খাতের ব্যবসায়ীদের দুই সংগঠন বিজিএমইএ ও বিকেএমইএ।
রবিবার রাতে ওভেন পোশাক শিল্পমালিকদের সংগঠন বিজিএমইএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, “উদ্ভূত পরিস্থিতি বিবেচনায় শ্রমিক কর্মচারী ভাইবোনদের সার্বিক নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সারা দেশের সকল পোশাক শিল্প কারখানা বন্ধ রাখার জন্য মালিক ভাইবোনদের অনুরোধ করা হল।”
নিট পোশাক শিল্পমাল্কিদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে দেশের সকল নিট পোশাক কারখানা বন্ধ রাখার জন্য মালিকদের অনুরোধ করা হয়েছে।”
সরকারি চাকরির কোটা সংস্কারের দাবিতে শুরু হওয়া এ আন্দোলন এখন সরকারবিরোধী আন্দোলনের রূপ নিয়েছে। এক দফা দাবিতে তাদের অসহযোগ আন্দোলনের প্রথম দিন রবিবার সারাদেশে সংঘাত–সংঘর্ষ, গুলি, পাল্টাপাল্টি ধাওয়ায় অন্তত ৯৫ জন নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৪ জন পুলিশ সদস্য।
সাভারের আশুলিয়ায় রবিবার বিকেলে পাঁচটি পোশাক কারখানায় আগুন দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
এ পরিস্থিতিতে রোববার সন্ধ্যা ৬টা থেকে দেশজুড়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সোম, মঙ্গল ও বুধবার সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের মধ্যে গত মাসেও এক সপ্তাহ বন্ধ ছিল পোশাক কারখানা।
কমেন্ট