সরকার পতনের ধাক্কা ব্যাংকগুলোতে
রাজধানী ঢাকার দিলকুশায় ইসলামী ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে রবিবার দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। ব্যাংকটির পুরনো কর্মীরা পর্ষদ পুনর্গঠনের মাধ্যমে ‘লুটেরাদের’ বের করে দেওয়ার দাবি তোলে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের ধাক্কা লেগেছে কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকে।
আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের সময় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সুশাসনের ঘাটতির সুযোগ নিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ জালিয়াতি থেকে শুরু করে বেসরকারি খাতের কয়েকটি ব্যাংকের পরিচালনা চলে যায় গুটিকয়েক ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর হাতে।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ফলে এখন সেই ব্যাংকগুলো দখলমুক্ত করতে সোচ্চার হয়ে উঠেছেন ব্যাংকগুলো থেকে বিতাড়িত মালিক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এতে ব্যাংক খাতে একটি বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে। এই তদারকি যারা করবে, সেই বাংলাদেশ ব্যাংকেও চলছে অস্থিরতা।
তবে ব্যাংক খাতের এ পরিস্থিতিতে বেশির ভাগ ব্যাংকের ঋণ অনুমোদন ও বিতরণ বন্ধ রয়েছে বলে জানান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
ইসলামী ব্যাংক
বেসরকারি সর্ববৃহৎ ব্যাংকটিতে কর্তৃত্বের লড়াইয়ে এরই মধ্যে রক্তারক্তিও হয়েছে।
গত ৫ অগাস্ট সরকার পতনের পর শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকটিকে এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে একটি পক্ষ সোচ্চার হয়েছে। তারা ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক থেকে বের করে দেওয়া কর্মীদের ফিরিয়ে আনা এবং পটিয়াভিত্তিক কর্মীদের বের করে দেওয়ার দাবি তুলছে।
এর জের ধরে রবিবার ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ের সামনে গোলাগুলি ও সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ৬ জন আহত হয়েছে। এর আগেই ইসলামী ব্যাংকে এস আলম গ্রুপের কাউকে ঢুকতে না দেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল।
রবিবার ইসলামী ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ সহকারী সহসভাপতি (এসএভিপি) শওকত আলী সাংবাদিকদের বলেন, “গতকাল জানতে পারি, এস আলমের বিভিন্ন কোম্পানি ও ব্যাংকের যারা আছে, তারা একত্রিত হয়ে যারা ব্যাংকটিকে লুটপাট করেছে তারা তাদের লোকদের ব্যাংকেই বসাবে।
“এতথ্য পেয়ে ব্যাংকের সামনে আমরা অবস্থান নিই। একটা পর্যায়ে এস আলমের লোকজন সিটি সেন্টারে অবস্থান নেয়। তারা মিছিল প্রধান কার্যালয়ে প্রবেশ করতে চায়। তখন ইসলামী ব্যাংকের কর্মকর্তারা তাদের প্রতিহত করতে গেলে এস আলমের লোকজন তাদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। তাতে ছয়জন আহত হয়।
ইসলামী ব্যাংককে জামায়াতে ইসলামীর নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার দাবি উঠেছিল শাহবাগে গণজাগরণ মঞ্চের আন্দোলন থেকে।
এরপর ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ব্যাংকটিতে হস্তক্ষেপ করে। পরিচালক অপসারণ, পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠনের পাশাপাশি মালিকানাতেও পরিবর্তন আসে।
এই প্রক্রিয়ায় ব্যাংকটির বড় অংশের মালিকানা চলে যায় সরকারের ঘনিষ্ঠ হিসাবে পরিচিত এস আলম গ্রুপের কাছে। লাভজনক এই ব্যাংকটি তারপর থেকে নাজুক দশায় পড়ে।
আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এখন ইসলামী ব্যাংকের পুরনোরা ব্যাংকটির নিয়ন্ত্রণ নিতে চাইছে বলে খবর আসছে। তাতেই দেখা দিয়েছে সংঘাত।
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক
সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকেও মালিকানা বদলের চেষ্টা চলছে। এই ব্যাংকটিও এস আলম গ্রুপের নিয়ন্ত্রণাধীন। কিন্তু সরকার পতনের পর গত বৃহস্পতিবার নিয়ন্ত্রণ নেন সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল হক। দুই ডিএমডিকে পদত্যাগে বাধ্য করেন তার সমর্থকরা।
ব্যাংকটি পুরনো মালিকদের হাতে ফেরত দেওয়ার দাবিতে রবিবার সংবাদ সম্মেলন হয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাবে। একই দাবিতে মানববন্ধনও হয়েছে।
১৯৯৫ সালে সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক প্রতিষ্ঠার সময় ব্যাংকটির অন্যতম উদ্যোক্তা পরিচালক রেজাউল হক পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ছিলেন।
২০১৭ সালে এস আলম গ্রুপ ব্যাংকটির কর্তৃত্ব নেওয়ার পর গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের আত্মীয়দের দ্বারাই ব্যাংকটি পরিচালিত হয়ে আসছিল। বর্তমানে তার জামাতা মো. বেলাল আহমেদ ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান।
গত ৭ বছর আওয়ামী লীগের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী এস আলম ও তার সহযোগীরা ব্যাংক থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা নামে-বেনামে লুট করেছে বলে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনকারীদের অভিযোগ।
রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ও পরিচালনা পর্ষদের সদস্যরা গত ৮ আগস্ট ব্যাংকের মালিকানা এবং সাধারণ শেয়ার হোল্ডারদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করার জন্য বর্তমান পরিচালনা পর্ষদ ও ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনার জন্য মতিঝিলের সিটি সেন্টারে অবস্থিত ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে যায়।
তবে সেখানে এস আলমের সময়ে নিয়োগ পাওয়া কর্মকর্তারা হট্টগোল শুরু করে এবং এক পর্যায় বিগত পর্ষদের সময়ে নিয়োগ পাওয়া ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা মো. মাসুদ মিয়াকে মাথায় আঘাত করা হয়। সে সময় টহলরত সেনা কর্মকর্তারা তাকে উদ্ধার করে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, তার মাথায় ৩০টি সেলাই দিতে হয়েছে।
এস আলমের বাড়ি চট্টগ্রামে পটিয়ার অনেকে গত আট বছরে ব্যাংকটিতে নিয়োগ পেয়েছে। তারা রবিবার ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়ে পুরনো কর্মকর্তাদের লাঞ্ছিত করে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক
বেসরকারি এই ব্যাংকটি সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ও তার পরিবারের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করার দাবিতে গত বৃহস্পতিবার গুলশানে ইউসিবির প্রধান কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে ব্যাংকের দেড় শতাধিক শেয়ারধারী।
এই সময় তারা বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুন প্রদর্শন করে সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ‘বিদেশে অর্থ পাচার’ ও ব্যাংকটির নানা অনিয়ম নিয়ে অভিযোগ তুলে ধরে।
ব্যানারে লেখা ছিল– স্বৈরাচার সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী দুর্নীতিবাজ অবৈধভাবে লন্ডনে ইউসিবি ব্যাংকের ১২ হাজার কোটি টাকা পাচারকারী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার পরিবার থেকে ইউসিবি ব্যাংকের মুক্তি চাই। লুটেরা প্রতিহত কর। ইউসিবি ব্যাংক রক্ষা কর।
২০১৭ সালে ইউসিবির পর্ষদ থেকে পারটেক্স গ্রুপের সবাইকে সরিয়ে কর্তৃত্ব নেয় সাইফুজ্জামান চৌধুরীর পরিবার। সাইফুজ্জামানের বাবা প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা ছিলেন।
ইউসিবির অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা পারটেক্স গ্রুপের এম এ হাসেম বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য। সরকার পরিবর্তনের পর তিনিও মালিকানা ফেরত পাওয়ার চেষ্টা করছেন।
গত বুধবার কয়েকজন শেয়ারহোল্ডারের নামে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ও বিএসইসি চেয়ারম্যান বরাবর একটি চিঠি দেওয়া হয়। চিঠিতে ব্যাংকের আর্থিক খারাপ অবস্থার চিত্র তুলে ধরে অবিলম্বে মালিকানা বদল চাওয়া হয়।
আইএফআইসি ব্যাংক
আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তার ছেলেসহ বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিনিধিত্বকারী সব পরিচালকের পদত্যাগের দাবি তুলেছেন ব্যাংকটির চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা। একই সঙ্গে সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ এ সরোয়ারের সময়ে ‘অন্যায়ভাবে’ যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের পুনর্বহালের দাবি তোলা হয়েছে।
সালমান এফ রহমান আওয়ামী লীগ সরকার আমলে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য ছিলেন। দেশের অর্থনৈতিক পরিমণ্ডলে গত এক দশকে তার ছিল একচ্ছত্র প্রভাব। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাকে এখনও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তার ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান আইএফআইসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান।
গত রবিবার পুরানা পল্টনে ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে দুই শতাধিক ব্যক্তি ‘আইএফআইসি ব্যাংকের চাকরিচ্যুত সকল কর্মকর্তাবৃন্দ’- ব্যানারে বিক্ষোভ করে।
তাদের অভিযোগ, আইএফআইসি ব্যাংক থেকে সালমান রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। তার সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন সাবেক এমডি শাহ এ সরোয়ার, যিনি বর্তমানে ব্যাংকটির উপদেষ্টা। তিনি অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করছেন।
আরও যেসব ব্যাংক নিয়ে দুঃশ্চিন্তা
কিছুদিন আগে মালিকানা বদল হওয়া ন্যাশনাল ব্যাংকে আবার মালিকানা বদলের গুঞ্জন উঠেছে। কিছুদিন আগে সিকদার গ্রুপের হাত থেকে বেসরকারি খাতের ন্যাশনাল ব্যাংকের মালিকানা তুলে দেওয়া হয় এস আলম গ্রুপের হাতে।
ব্যাংকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা, বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়াল মিন্টু ব্যাংকটির মালিকানা থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন এক সময়। এখন আবার মালিকানায় ফেরার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।
ওয়ান ব্যাংক, বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকসহ কয়েকটি ব্যাংকে বিক্ষোভের খবর পাওয়া যাচ্ছে। অন্যদিকে সুযোগ-সুবিধা ও ইনসেনটিভের দাবিতে এই কয়েকদিনে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সোনালী, জনতা ও অগ্রণী ব্যাংকে ছোট ছোট বিক্ষোভ হয়। পদোন্নতির ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার কর্মকর্তারা বিক্ষোভ করেন।
বাংলাদেশ ব্যাংক
কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কর্মীদের একটি অংশ গভর্নর-ডেপুটি গভর্নরসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করে ৭ আগস্ট থেকে। এর মধ্যে গত শুক্রবার গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার পদত্যাগ করেন।
এর দুই দিন আগে ডেপুটি গভর্নর কাজী ছায়েদুর রহমানকে জোর করে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করানো হয়। অন্য চার ডেপুটি গভর্নর অফিসে আসা ছেড়ে দিয়েছেন ৭ আগস্ট থেকে। আরও কয়েকজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ব্যাংকে আসছেন না।
রবিবার অর্থমন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহারকে গভর্নরের দৈনন্দিন ডাক দেখা ও বন্টনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। অন্যান্য ডেপুটি গভর্নরদেরও তাদের দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয় ওই আদেশে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সতর্কতা
ব্যাংকে শৃঙ্খলা পরিপন্থী কার্যকলাপের বিষয়ে সতর্ক করে এ থেকে বিরত থাকতে নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। রবিবার ইসলামী ব্যাংকে গোলাগুলির ঘটনার পরপরই কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন নির্দেশনা দেয় ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডিপার্টমেন্ট অব কমিউনিকেশন্স এন্ড পাবলিকেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সম্প্রতি কিছু কিছু ব্যাংকের দপ্তরে বা কার্যস্থলে ব্যাংকের শেয়ারধারক, বর্তমান ও প্রাক্তন কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্তৃক শৃঙ্খলা পরিপন্থী কতিপয় কার্যকলাপ সংঘটিত হচ্ছে মর্মে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিকট গোচরীভূত হয়েছে।
এতে আরও উল্লেখ করা হয়, ব্যাংকের মালিকানা সম্পর্কিত বিরোধ নিষ্পত্তি কিংবা কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের দাবী-দাওয়া পেশের সুনির্দিষ্ট আইনী প্রক্রিয়া ও নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থা রয়েছে। অনিয়মতান্ত্রিক ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারী এ ধরনের কার্যকলাপ ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম ও লেনদেনে ব্যাঘাত সৃষ্টি করছে বিধায় ব্যাংকের ওপর আমানতকারীদের আস্থার সংকট দেখা দিতে পারে।
ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ধারা ৫৭(১) অনুযায়ী ব্যাংকের দপ্তরে বা কার্যস্থলে আমানতকারীদের আস্থা ক্ষুন্ন হয় এমন কোনো কার্যকলাপ থেকে বিরত থাকার নির্দেশনা রয়েছে এবং এ ধরনের কার্যকলাপ উল্লিখিত আইনের ধারা ৫৭(২) অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ বলেও উল্লেখ করা হয় ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে।
কমেন্ট