নীতি সুদহার বেড়ে ৯ শতাংশে উঠল

নীতি সুদহার বেড়ে ৯ শতাংশে উঠল

২৭ আগস্ট মঙ্গলবার থেকে নতুন সুদের হার কার্যকর হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

চড়তে থাকা মূল্যস্ফীতির লাগাম টেনে ধরতে নীতি সুদহার (পলিসি রেট) আরেক দফা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এতদিন এই হার ছিল ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ। তা থেকে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৯ শতাংশ করা হয়েছে।

এছাড়া নীতি সুদের করিডরের ঊর্ধ্বসীমা এবং নিম্নসীমাও বাড়ানো হয়েছে। নীতি সুদহারের ঊর্ধ্বসীমা স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটি (এসএলএফ) রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে এবং নীতি সুদহার করিডরের নিম্নসীমা স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটি (এসডিএফ) রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে।

২৭ আগস্ট মঙ্গলবার থেকে নতুন সুদের হার কার্যকর হবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

এর আগে সবশেষ ৮ মে নীতি সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৮ দশমিক ৫ শতাংশ করেছিল কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এসএলএফ রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হয়েছিল। এসডিএফ রেট ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ৭ শতাংশ করা হয়।

 ২০২২ সালের মে মাস থেকে বেশ কয়েকবার নীতি সুদহার বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে উদ্বেগজনক সূচক এখন মূল্যস্ফীতি। পারদ বেশ খানিকটা চড়েছে। সার্বিক মূল্যস্ফীতি এক লাফে বেড়ে ১২ শতাংশের দিকে ছুটছে। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছাড়িয়েছে ১৪ শতাংশ।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) সবশেষ মূল্যস্ফীতির যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসওয়ারি বা মাসভিত্তিক) দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশ। মূল্যস্ফীতির এই চিত্র সাড়ে ১৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

আগের মাস জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ১০ দশমিক ৪২ শতাংশ।

এ নিয়ে ২০২২ সালের মে মাস থেকে বেশ কয়েকবার নীতি সুদহার বাড়াল কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের মনিটারি পলিসি কমিটির পঞ্চম সভায় নীতি সুদহার করিডোর পুনঃনির্ধারণ করা হয়েছে।

মূলত মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে নীতি সুদহার বাড়ানো হয়। বিষয়টি হলো—কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি মনে করে, সমাজে অর্থের সরবরাহ বেশি এবং সে কারণে মূল্যস্ফীতির সূচক বাড়ছে, তাহলে অর্থপ্রবাহ কমাতে নীতি সুদহার বৃদ্ধি করে তারা।

নীতি সুদহার বৃদ্ধির অর্থ হলো, ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত সুদ দিয়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ঋণ করতে হবে। ফলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের যে ঋণ দেয়, তার সুদহার বাড়ে। নীতি সুদহার বেশি থাকলে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে টাকা ধার করতে নিরুৎসাহিত হয়। নীতি সুদহার হলো রেপো।

এর সঙ্গে রিভার্স রেপো রেটের আলোচনাও প্রাসঙ্গিকভাবে চলে আসে। যেমন কেন্দ্রীয় ব্যাংক যদি মনে করে বাজারে অতিরিক্ত তারল্য আছে, তাহলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ওই তারল্য তুলে নিতে পারে। এই তুলে নেওয়ার জন্য সুদের নির্দিষ্ট হার থাকে। অর্থ তুলে নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে যে হারে সুদ দেয়, তাকে বলা হয় রিভার্স রেপো। সাধারণত নীতি সুদহার বা রেপো রেটের তুলনায় রিভার্স রেপোর সুদহার কম থাকে।

ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সীমা বাড়ল পরবর্তী

ব্যাংক থেকে টাকা তোলার সীমা বাড়ল

কমেন্ট