আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সুদহারও বাজার নির্ধারণ করবে
এতদিন এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের সুদহার নির্ধারণ হতো ‘সিক্স মানথস মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল’ বা স্মার্ট পদ্ধতি অনুযায়ী।
ব্যাংকের পর এবার ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানের (এনবিএফআই) ঋণ ও আমানতের সুদহার বাজারের ওপর ছেড়ে দিল বাংলাদেশ ব্যাংক।
ফলে এখন থেকে এনবিএফআইগুলো তাদের নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের ঋণ, লিজ বা বিনিয়োগের সুদহার নির্ধারণ করতে পারবে। একইভাবে পারবে আমানতের সুদহার নির্ধারণ করতে।
এতদিন এ খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণের সুদহার নির্ধারণ হতো ‘সিক্স মানথস মুভিং এভারেজ রেট অব ট্রেজারি বিল’ বা স্মার্ট পদ্ধতি অনুযায়ী।
২০২৩ সালের জুন মাস থেকে স্মার্ট পদ্ধতি অনুযায়ী ব্যাংক ও এনবিএফআই উভয় খাতের প্রতিষ্ঠানই ঋণের সুদহার নির্ধারন করে আসছিল।
চলতি বছরের ৯ মে থেকে ব্যাংক ঋণের সুদহার নির্ধারণের ক্ষেত্রে স্মার্ট পদ্ধতি অনুসরণ করার নির্দেশনা তুলে নেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এরপর থেকে ব্যাংকগুলো নিজেরাই ঋণের সুদহার নির্ধারণ করতে শুরু করে। বর্তমানে ব্যাংক খাতের ঋণের সুদহার ১৬ শতাংশের আশপাশে রয়েছে।
রবিবার বাংলাদেশ ব্যাংকের আর্থিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার বিভাগ এক সাকুলার জারির মাধ্যমে এনবিএফআইগুলোকে বাজারভিত্তিক সুদহার নির্ধারণের নির্দেশনা দিয়েছে।
সার্কুলারে বলা হয়, আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ঋণের খাতভিত্তিক সুদহার ও আমানতের সুদহার তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে। ঝুঁকি বিবেচনায় গ্রাহকভেদে নির্ধারিত সীমার মধ্যে সুদ বা মুনাফার হারে ১ শতাংশ পর্যন্ত তারতম্য করা যাবে।
বাজার বহির্ভূত হারে ঋণ ও আমানতের ওপর সুদ দেওয়া যাবে না বলেও শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে সার্কুলারে।
এতে বলা হয়েছে, ঋণ বিতরণের পরবর্তী ৬ মাসের মধ্যে সুদহার বাড়ানো যাবে না। এরপর প্রতি ৬ মাস অন্তর বাজার সুদহারের ভিত্তিতে বিতরণ করা ঋণের সুদহার পুনরায় নির্ধারণ করতে পারবে এনবিএফআইগুলো।
সার্কুলারে আরও বলা হয়, কোনও ঋণ অথবা ঋণের কিস্তি সম্পূর্ণ বা আংশিক মেয়াদোত্তীর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হলে যে সময়ের জন্য মেয়াদোত্তীর্ণ হবে, ওই মেয়াদোত্তীর্ণ কিস্তির ওপর নিয়মিত সুদহারের অতিরিক্ত সর্বোচ্চ শুন্য দশমিক ৫০ শতাংশ দণ্ড সুদ আরোপ করতে পারবে এনবিএফআই।
এনবিএফআইগুলোকে ঘোষিত সুদহারের অতিরিক্ত কোনও সার্ভিস চার্জ আরোপ বা আদায় না করারও নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কমেন্ট