দুর্বল ৭ ব্যাংক পেল সাড়ে ৬ হাজার কোটি টাকা
গত গত এক সপ্তাহে এক হাজার কোটি টাকা ধার করেছে ব্যাংকগুলো।
তারল্য ঘাটতি মেটাতে দুর্বল সাত ব্যাংককে ৬ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকার সহায়তা দিয়েছে ১০ ব্যাংক, তবে এসব ব্যাংক থেকে চাওয়া হয়েছিল ১১ হাজার ১০০ কোটি টাকা। এর মধ্যে গত গত এক সপ্তাহে এক হাজার কোটি টাকা ধার করেছে ব্যাংকগুলো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা এআরএইচ ডট নিউজকে এ তথ্য জানিয়েছেন।
সবচেয়ে বেশি সহায়তা পেয়েছে ইসলামী ব্যাংক। সাতটি ব্যাংক থেকে তারা পেয়েছে ২ হাজার ৯৫ কোটি টাকা।
ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের আওতায় দুর্বল সাতটি ব্যাংককে এই তারল্য সহায়তা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এসব ব্যাংকের স্বল্পমেয়াদি অর্থায়নের চাহিদা মেটাতে এ সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
হুসনে আরা শিখা বলেন, তারল্য সংকটে ভুগতে থাকা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সহায়তা করতে ঋণ দিচ্ছে সবল ব্যাংকগুলো। এতে আর্থিকভাবে কিছুটা সংকট কাটিয়ে উঠছে তারা। অতিরিক্ত কোনো টাকা না ছাপিয়েই এ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক গ্যারান্টি দিয়েছে; যার আওতায় সবল ব্যাংক থেকে এই তহবিল ঋণ হিসেবে নিতে পেরেছে দুর্বল ব্যাংকগুলো।”
দুর্বল ব্যাংকগুলোর মধ্যে ইসলামী ব্যাংক সবচেয়ে বেশি তারল্য সহায়তা পেয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, সাতটি ব্যাংক থেকে ইসলামী ব্যাংক তারল্য পেয়েছে ২ হাজার ৯৫ কোটি টাকা। এছাড়া সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক ৬টি ব্যাংক থেকে ১ হাজার ১৭৫ কোটি টাকা, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক ছয় ব্যাংক থেকে ১ হাজার কোটি ও গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক পেয়েছে ২৯৫ কোটি টাকা।
তিনি জানান, ন্যাশনাল ব্যাংক ৯২০ কোটি, এক্সিম ব্যাংক ৭০০ কোটি ও ইউনিয়ন ব্যাংক ৪০০ কোটি টাকার তারল্য সহায়তা পেয়েছে। এসব ব্যাংক-কে তারল্য সহায়তা দিয়েছে সোনালী ব্যাংক, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, ঢাকা ব্যাংক, ইস্টার্ন ব্যাংক, শাহজালাল ইসলামি ব্যাংক, সিটি ব্যাংক পিএলসি, ব্র্যাক ব্যাংক, পূবালী ব্যাংক ও বেঙ্গল কমার্শিয়াল ব্যাংক।
চলতি সপ্তাহের সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর ১৭টি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের সঙ্গে সভা করেন। সেই সভায় দুর্বল ব্যাংকগুলোকে সহায়তা অব্যাহত রাখতে শক্তিশালী ব্যাংকগুলোকে অনুরোধ করেন তিনি।
ক্ষমতার পালাবদলের পর ইসলামী ধারার শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংকগুলোকে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে নগদ অর্থ দেওয়া বন্ধ করে দিলে ব্যাংকগুলোতে শুরু হয় তারল্য সংকট। পরিস্থিতি এমন হয় যে গ্রাহকরা ২০ হাজার টাকাই তুলতে পারছিলেন না।
এ পরিস্থিতিতে গভর্নর সবল ব্যাংক থেকে দুর্বল ব্যাংকের নগদ টাকা ঋণ নেওয়ার বিষয়টি অনুমোদন করেন। এরপর সবল ১০ ব্যাংক তারল্য সহায়তা দেওয়ার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে সম্মতি দেয়।
এর আগে গত ৬ নভেম্বর অর্থ সংকটে থাকা দুর্বল ব্যাংকগুলোকে ৫ হাজার ৫৮৫ কোটি টাকা তারল্য সহায়তা দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মুখপাত্র শিখা।
কমেন্ট