এমডি পেল রূপালী ব্যাংক, বেতন ৬ লাখ টাকা
কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলাম
অবশেষে শীর্ষ কর্মকর্তা পেল রাষ্ট্রায়ত্ত রূপালী ব্যাংক। ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে কাজী মো. ওয়াহিদুল ইসলামের নিয়োগ অনুমোদন করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। তার মাসিক বেতন ধরা হয়েছে মোট ছয় লাখ টাকা।
মঙ্গলবার রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যানের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এমডির নিয়োগ অনুমোদনের বিষয়টি জানায় বাংলাদেশ ব্যাংক। গত সাড়ে তিন মাস ভারপ্রাপ্ত এমডি দিয়ে পরিচালিত হয়ে আসছে ব্যাংক।
বাংলাদেশ ব্যাংকের চিঠিতে বলা হয়েছে, কাজী ওয়াহিদুল ইসলামকে চার লাখ টাকা মূল বেতন দেওয়া হবে। এর সঙ্গে তিনি বাড়িভাড়া বাবদ ৭৫ হাজার টাকা, বাড়ি রক্ষণাবেক্ষণে ২৫ হাজার টাকা, চিকিৎসায় ৪০ হাজার টাকা, আপ্যায়নে ৩০ হাজার টাকা ও পরিষেবা ভাতা হিসেবে ৩০ হাজার টাকা পাবেন। তাতে মাসে সব মিলিয়ে তার বেতন–ভাতা দাঁড়াবে ছয় লাখ টাকা।
কাজে যোগদানের তারিখ থেকে পরবর্তী তিন বছরের জন্য ওয়াহিদুল ইসলামকে রূপালী ব্যাংকের এমডি হিসেবে চুক্তিতে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তার বেতন-ভাতার ওপর পরিশোধযোগ্য আয়কর তিনি নিজে বহন করবেন।
১২ ডিসেম্বর এক প্রজ্ঞাপনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ ওয়াহিদুল ইসলামকে রূপালী ব্যাংকের এমডি হিসেবে নিয়োগ দেয়। এর আগে তিনি সোনালী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গত ১৯ সেপ্টেম্বর সোনালী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক ও বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক লিমিটেড (বিডিবিএল)—এই ছয় ব্যাংকের এমডিদের সরিয়ে দেওয়া হয়। তখন রূপালী ব্যাংকের এমডি পদে ছিলেন মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর।
এক মাস পর ২১ অক্টোবর সোনালী, রূপালীসহ ১০ ব্যাংকে নতুন এমডি নিয়োগ দেয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ। এরমধ্যে রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আ. রহিমকে রূপালী ব্যাংকের এমডি নিয়োগ দেওয়া হয়।
এদের মধ্যে নয় ব্যাংকের এমডি যোগদান করলেও ‘শেখ মুজিবুর রহমান ও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কবিতা লেখার অভিযোগ’ উঠায় রূপালী ব্যাংকের এমডি আ. রহিমের নিয়োগ বাতিল করে সরকার।
কমেন্ট