ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের লেনদেন ৫ দিন বন্ধ থাকবে

ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের লেনদেন ৫ দিন বন্ধ থাকবে

এ সময়ে ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথ থেকে কোনো সেবা পাবেন না ব্যাংকটির গ্রাহকেরা। তবে ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের লেনদেন চালু থাকবে।

নতুন বছরের প্রথম পাঁচ দিন বেসরকারি ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের লেনদেন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ থাকবে। অর্থাৎ ১ জানুয়ারি বুধবার থেকে ৫ জানুয়ারি রবিবার পর্যন্ত লেনদেন বন্ধ থাকবে।

এ সময়ে ব্যাংকের শাখা ও এটিএম বুথ থেকে কোনো সেবা পাবেন না ব্যাংকটির গ্রাহকেরা। তবে ক্রেডিট কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের লেনদেন চালু থাকবে।

ব্যাংকটির ওয়েবসাইটে নোটিশ দিয়ে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

নোটিশে বলা হয়েছে, আরও আধুনিক ও উন্নত সেবা দেওয়ার লক্ষ্যে ন্যাশনাল ব্যাংকের কোর ব্যাংকিং সিস্টেম আপগ্রেডের কার্যক্রম চলছে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত সব ধরনের ব্যাংকিং সেবা বন্ধ থাকবে। এই সময়ে ক্রেডিট কার্ড এবং প্রি-পেইড কার্ড ছাড়া গ্রাহকের হিসাবে সকল ধরনের লেনদেন, রেমিটেন্স সেবা, মোবাইল অ্যাপ, এটিএম ও ডেবিট কার্ড সার্ভিসসহ অন্য সব সেবা সাময়িকভাবে স্থগিত থাকবে।

গত ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক এক সার্কুলারের মাধ্যমেও টানা পাঁচ দিন ব্যাংকটির লেনদেন বন্ধ থাকার কথা জানিয়েছিল।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়, নতুন কোর ব্যাংকিং সফটওয়্যারে মাইগ্রেশনের কার্য সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কোর ব্যাংকিং সার্ভিসেস ২০২৫ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত সাময়িকভাবে বিরত রাখতে বাংলাদেশ ব্যাংকে আবেদন করেছে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংক পিএলসি। এছাড়া ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর থেকে ২০২৫ সালের ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিসেস সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে চায় ব্যাংকটি।

ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের এই আবেদনে সম্মতি জ্ঞাপন করা হয়েছে বলে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। অর্থাৎ ব্যাংকটির কোর ব্যাংকিং সার্ভিসেস পাঁচদিন ও এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিসেস সাতদিন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে।

ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১ এর ৪৫ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে এ সম্মতি জ্ঞাপন করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত নির্দেশনা দেশে কার্যরত সকল তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ১ জানুয়ারি বুধবার থেকে বন্ধ থাকবে ব্যাংকটির কোর ব্যাংকিং সার্ভিসেস। আর গত ৩০ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ রয়েছে ডাচ্-বাংলার এজেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিস।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কাশেম মো. শিরিন সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “বছরের শুরুর সময়টাতে ব্যাংকিং লেনদেনের চাপ কম থাকে। তাই গ্রাহকসেবার মান আরও উন্নত করতে সফটওয়্যার হালনাগাদের জন্য আমরা এই সময়টাকে বেছে নিয়েছি।”

সাময়িক অসুবিধার জন্য গ্রাহকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেন তিনি।

অন্যদিকে কোর ব্যাংকিং সিস্টেম (সিবিএস) মাইগ্রেশনের জন্য মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) থেকে আরেক বেসরকারি ব্যাংক ন্যাশনাল ব্যাংকের সব ধরনের ব্যাংকিং কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। যা অব্যাহত থাকবে আগামী ৪ জানুয়ারি পর্যন্ত।

গ্রাহক সেবার দিক দিয়ে শীর্ষে থাকা ডাচ-বাংলা ব্যাংকের গ্রাহক সংখ্যা বর্তমানে ৫ কোটি ৪৭ লাখ। শাখার সংখ্যা ২৪১টি। উপ-শাখার সংখ্যা ২৭৯টি। এটিএম ও সিআরএম বুথ সংখ্যা ৮ হাজার ২৫০টি। এজেন্ট আউটলেট ৫ হাজার ৯৫৪টি।

ন্যাশনাল ব্যাংকের শাখার সংখ্যা ২২১টি। উপ-শাখা রয়েছে ৬৫টি। এটিএম বুথের সংখ্যা ৫৫টি।

‘ব্যাংক খাতে ব্যর্থতার দায় সবার’ পরবর্তী

‘ব্যাংক খাতে ব্যর্থতার দায় সবার’

কমেন্ট