আগে সাধারণ গাড়ির দামের ৫০ শতাংশ ঋণ দেওয়া হতো। গ্রাহককে দিতে হতো বাকি ৫০ শতাংশ। এখন থেকে এ ধরনের গাড়ি কেনার জন্য ব্যাংক দেবে গাড়ির দামের ৬০ শতাংশ এবং বাকি ৪০ শতাংশ দিতে হবে গ্রাহককে।

ভোক্তা ঋণের আওতায় গাড়ি কেনার জন্য ঋণের অঙ্ক বাড়িয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আগে একটি গাড়ি কিনতে ব্যাংক সর্বোচ্চ ৪০ লাখ টাকা ঋণ দিতে পারত। এখন তা বাড়িয়ে ৬০ লাখ টাকা করা হয়েছে।

পাশাপাশি একটি গাড়ির দামের কত শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে—সেই সীমাও বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।

আগে সাধারণ গাড়ির দামের ৫০ শতাংশ ঋণ দেওয়া হতো। গ্রাহককে দিতে হতো বাকি ৫০ শতাংশ। এখন থেকে এ ধরনের গাড়ি কেনার জন্য ব্যাংক দেবে গাড়ির দামের ৬০ শতাংশ এবং বাকি ৪০ শতাংশ দিতে হবে গ্রাহককে।

মঙ্গলবার এ—সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ নির্দেশনা নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই কার্যকর হয়েছে।

সব ব্যাংকের প্রধান নির্বাহীদের কাছে পাঠানো সার্কুলারে বলা হয়েছে, গাড়ির বর্তমান বাজারমূল্য বিবেচনায় এই পরিবর্তন আনা হয়েছে। আগে একটি গাড়ি কিনতে ব্যাংক সর্বোচ্চ ৪০ লাখ টাকা ঋণ দিতে পারত; এখন তা বাড়িয়ে ৬০ লাখ টাকা করা হয়েছে। এ ছাড়া গাড়ির দামের সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ দিতে পারত ব্যাংকগুলো। এখন গাড়ির দামের ৬০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবে। এ ছাড়া হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বাকি টাকার জোগান ক্রেতাকেই দিতে হবে।

জানা গেছে, গাড়ির ঋণে এগিয়ে আছে ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠান আইপিডিসি, আইডিএলসি ও লঙ্কাবাংলা। এ ছাড়া ব্যাংকগুলোর মধ্যে ব্র্যাক, সিটি, ডাচ বাংলা ও ইস্টার্ন ব্যাংক গাড়িঋণের শীর্ষে আছে।

বর্তমানে ব্যাংকগুলোর গাড়িঋণের সুদহার ১২ থেকে ১৪ শতাংশ। আর্থিক প্রতিষ্ঠানে তা কিছুটা বেশি।

গাড়ি কিনতে ঋণ পাওয়া এখন আর কঠিন কিছু নয়। সহজ শর্ত ও প্রতিযোগিতামূলক সুদহার—এই উভয় কারণে গাড়ি এখন সচ্ছল গ্রাহকদের হাতের মুঠোয়। ব্যাংকগুলো সর্বোচ্চ ৬০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিতে পারলেও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো যেকোনো অঙ্কের টাকা ঋণ দিতে পারে।

গ্রাহকদের সুবিধা দিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন নিজেরাই গাড়ি বিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে। পুরোনো গাড়ি কিনতেও পাওয়া যাচ্ছে এই ঋণ।

একই সঙ্গে গাড়ি কেনার ঋণের হারও বাড়ানো হয়েছে। বিশেষ করে হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক গাড়ির জন্য গাড়ির দামের ৭০ শতাংশ পর্যন্ত ঋণ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। বাকি ৩০ শতাংশ দিতে হবে ভোক্তাকে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্র জানায়, দেশের সার্বিক অর্থনীতি বিশেষ করে আমদানি খাতকে চাঙা করতে ভোক্তা পর্যায়ে ঋণ বিতরণের হার বাড়ানো হয়েছে। নতুন বছরে এমন আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।