অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকিতে শতাধিক প্রতিষ্ঠান: এফবিসিসিআই
রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিনসহ অন্য অতিথিরা। ছবি সংগৃহীত
অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে গঠিত এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিল ৫ হাজার ২০৬টি প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছে। এর মধ্যে শতাধিক প্রতিষ্ঠানকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিল আয়োজিত এক কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য দেন এফবিসিসিআই সভাপতি জসিম উদ্দিন।
সম্প্রতি ঢাকায় কয়েকটি বড় অগ্নিকাণ্ডের পর দেশের ব্যবসায়ী শিল্পপতিদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই অগ্নিকাণ্ড প্রতিরোধে ব্যবসায়ীদের মধ্যে সচেতনতা বাড়াতে এই সেফটি কাউন্সিল গঠন করে।
অনুষ্ঠানে জসিম উদ্দিন বলেন, “পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে কোনো প্রতিষ্ঠান কমপ্লায়েন্স না মানলে বিদেশি গ্রাহকরা সহজে সে প্রতিষ্ঠানের পণ্য কিনতে চায় না। তবে বিদেশি গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখে যেভাবে কমপ্লায়েন্স মেনে চলা হচ্ছে, ঠিক সেভাবে দেশি গ্রাহকদের জন্য পণ্য উৎপাদনকারীদের ফায়ার সেফটিসহ কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জরুরি।”
“বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত কমপ্লায়েন্স ও নিরাপত্তার দিকে অনেক ভালো করছে। বিশ্বের সেরা ১০টি গ্রিন ফ্যাক্টরির মধ্যে ৮টির অবস্থান এখন বাংলাদেশে। আমাদের পোশাক খাতের কমপ্লায়েন্সের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ও প্রতিষ্ঠান দারুণ প্রশংসা করে।”
কর্মশালার প্রধান অতিথি বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ পাঁচ হাজারের বেশি কারখানা পরিদর্শনের জন্য এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলকে ধন্যবাদ জানান। অতি ঝুঁকিপূর্ণ চিহ্নিত কারখানা সংস্কারের ব্যবস্থা এমনকি বন্ধ করার বিষয়েও পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
কর্মশালার বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক মাইন উদ্দিন আহমেদ বলেন, কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তায় পিপিপি মডেল তৈরি করা অত্যন্ত জরুরি।
এফবিসিসিআইর সিনিয়র সহসভাপতি মোস্তফা আজাদ চৌধুরী বাবু বলেন, সেফটি কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে অগ্নিনিরাপত্তা বিষয়ে ৭৯ কারখানায় প্রায় তিন হাজার কর্মীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
কর্মশালায় সেফটি কাউন্সিলের কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন এফবিসিসিআই সেফটি কাউন্সিলের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবু নাঈম মো. শহিদুল্লাহ।
কমেন্ট