কোরবানিযোগ্য পশু সোয়া কোটি, চাহিদার বেশি ২১ লাখ
ফাইল ছবি
দেশে চাহিদার চেয়ে এবার কোরবানিযোগ্য পশু বেশি রয়েছে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
তিনি বলেছেন, “এবার এক কোটি তিন লাখ ৯৪ হাজার ৭৩৯টি কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে। আর প্রস্তুতি রয়েছে এক কোটি ২৫ লাখ ৩৬ হাজার ৩৩৩টির। চাহিদার চেয়ে ২১ লাখ ৪১ হাজার ৫৯৪টি পশু উদ্বৃত্ত রয়েছে।”
গত বছর কোরবানিযোগ্য পশুর সংখ্যা ছিল ১ কোটি ২১ লাখ ২৪ হাজার ৩৮৯টি। আর কোরবানি হয়েছে ৯৯ লাখ ২১ হাজার ৯৪১টি।
কোরবানির পশুর চাহিদা নিরুপণ, সরবরাহ এবং দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে কোরবানির পশুর অবাধ পরিবহন নিশ্চিত করতে বুধবার সচিবালয়ে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার পর এসব তথ্য জানান প্রাণিসম্পদমন্ত্রী।
তিনি জানান, এবার কোরবানিযোগ্য পশুর মধ্যে ৪৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৫২টি গরু ও মহিষ, ৭৬ লাখ ৯০ হাজার ছাগল-ভেড়া এবং দুই হাজার ৫৮১টি অন্যান্য প্রজাতির গবাদিপশু।
“অতীতে শুধু হাটে কোরবানির পশু বিক্রি হত। করোনা শুরুর পর থেকে কোরবানির পশু রস্তায়ও বিক্রি করতে পারবে, বাড়িতেও বিক্রি করতে পারবে। যে যেখান থেকে বিক্রি করতে চায় পারবে। কারণ বাজারে অনেক সময় মনোপলি ব্যবসা করার জন্য ইজারাদার সংকট সৃষ্টি করে রাখে। এজন্য (বিক্রি) আমরা ওপেন করে দিয়েছি।
“যদি কেউ রাস্তায় বিক্রি করতে চান, বিক্রি করতে পারবেন, বাজারে বিক্রি করতে চান বিক্রি করতে পারবেন। যদি কাউকে বিক্রিতে কোনো ডিস্টার্ব করা হয়, ল উইল টেক ইট ওন কোর্স।”
তবে রাস্তায় কোনো পশুর হাট বসানো যাবে না বলে মঙ্গলবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মন্ত্রিসভা কমিটি। এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে রেজাউল করিম বলেন, “রাস্তায় গরু নিয়ে যাওয়ার সময় বিক্রি করা যাবে। রাস্তার ওপর বাজার মেলানো যাবে না।
“যে কোনো জায়গায় পশু বিক্রি হতে পারবে। কেউ বাধা দিলে ৯৯৯ নম্বরে বা স্থানীয় প্রশাসনকে জানালে ব্যবস্থা নেবে। বিক্রি হচ্ছে সেটা ডকুমেন্ট করতে হবে।”
দেশে কোরবানির পশুর কোনো ঘাটতি বা সংকট নেই জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, গত চার-পাঁচ বছরের মত এবারও দেশে উৎপাদিত গবাদিপশু দিয়েই কোরবানির চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। বিদেশে থেকে পশু আমদানির কোনো প্রয়োজন নেই।
“পাশ্ববর্তী দেশ থেকে সীমান্ত পথে যাতে অবৈধভাবে গবাদিপশু আসতে না পারে সেজন্য কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে।”
কমেন্ট