এখন চিনির দাম বাড়ানো যাবে না: বাণিজ্যমন্ত্রী
ঈদের আগে চিনির দাম বাড়ানো যাবে না বলে পরিস্কার জানিয়ে দিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। এমনকি ঈদের আগে চিনিকলমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কোনো বৈঠকও করবেন না বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
সচিবালয়ে বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নে এ কথা বলেছেন টিপু মুনশি।
তিনি বলেন, “ঈদের আগে বাজারে যাতে বাড়তি দামে চিনি বিক্রি না হয়, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর তা পর্যবেক্ষণ করবে।”
বাড়তি দামে কয়েক মাস ধরেই চিনি বিক্রি হয়ে আসছে বাজারে। কিন্তু মিলমালিকেরা চান দাম আরও বাড়াতে। তাদের যুক্তি হচ্ছে, বিশ্ববাজারে চিনির দাম বাড়তি। এ জন্য দেশের বাজারে দাম সমন্বয় করতে চান তারা।
সব ধরনের খরচ ও মুনাফাসহ সরকার চিনির যে দামের হিসাব দিচ্ছিল, তা কিছুতেই মানছিলেন না মিলমালিকেরা। এমন পরিস্থিতিতে গত সোমবার হঠাৎ করেই চিনিকলমালিকদের সংগঠন বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশন ঘোষণা দেয় ২২ জুন বৃহস্পতিবার থেকে তারা প্রতি কেজি প্যাকেটজাত চিনি ১৫০ টাকা ও খোলা চিনি ১৪০ টাকা দরে বিক্রি করবে।
বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনকে (বিটিটিসি) নতুন এ দরের কথা জানিয়ে ওই দিন চিঠিও দেয় চিনিকলমালিকদের সংগঠনটি। একই চিঠি বাণিজ্য মন্ত্রণালয়েও দেওয়া হয়।
ওই চিঠির পর মঙ্গলবার সমিতির সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করে বিটিটিসি। বিটিটিসির চেয়ারম্যান ফয়জুল ইসলাম এতে সভাপতিত্ব করেন।
ওই বৈঠকে চিনির দাম ঈদের আগে না বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়। ঈদের পরে বিটিটিসির সঙ্গে এ নিয়ে মিলমালিকদের আবার বৈঠক হবে। তখন দাম সমন্বয় হবে। মিলমালিকেরা এ সিদ্ধান্ত মেনে নেন বলে বৈঠক সূত্রে জানা যায়।
তবে বাজারে এখন কোনো প্যাকেটজাত চিনি বিক্রি হচ্ছে না। সব খোলা চিনি। এমনকি কোনো শপিং মলেও প্যাকেটজাত চিনি মিলছে না।
বাজারে এখন ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে।
যদিও সরকার ১২০ টাকা দরে খোলা চিনি এবং ১২৫ টাকা দরে প্যাকেটজাত চিনি বিক্রির দর বেঁধে দিয়েছিল।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বৃহস্পতিবার বিটিটিসির সঙ্গে চিনিকলমালিকদের বৈঠকের সিদ্ধান্তের কথাই আসলে জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “চিনির দাম আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে। অন্যদিকে ভোজ্য তেলের দাম কমেছে। চিনি ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব রয়েছে। সে বিষয়ে ট্যারিফ কমিশন একটি পর্যালোচনা প্রতিবেদনও তৈরি করেছে।
“তবে এখনই চিনি ব্যবসায়ীদের সঙ্গে দাম সমন্বয়ের জন্য কোনো বৈঠক করা সম্ভব হচ্ছে না। কোরবানির ঈদের পরে তাদের সঙ্গে বসে দাম নির্ধারণ করা হবে।
“চিনির দাম বিষয়ে অ্যাসেসমেন্ট আছে। সে অনুযায়ী ভোক্তা অধিকারকে বাজারে মনিটরিং করতে হবে। অ্যাট লিস্ট ট্যারিফ কমিশনের সুপারিশের চেয়ে যাতে কোম্পানিগুলো বেশি দাম না নেয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।”
চিনির ভ্যাট ও অন্যান্য ট্যারিফ কীভাবে কমানো যায় সেই চেষ্টা চলছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।
কমেন্ট