শনিবার রাজধানী ঢাকার একাধিক এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ছবি: সংগৃহীত

আমিষের সহজলভ্য উৎস ডিমের দাম পাগলা ঘোড়ার মতো ছুঁটছে। প্রতিদিনই ডজনে পাঁচ টাকা করে বাড়ছে।  

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিদিনের খুচরা বাজার দর অনুযায়ী, শনিবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এ হিসাবে প্রতিটি ডিমের দাম ১৫ টাকা; ডজন ১৮০ টাকা। 

মুরগির ডিমের বাজারের এই আগুন নেভাতে এবার মাঠে নেমেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। 

ডিমের দাম তদারকির লক্ষ্যে শনিবার রাজধানী ঢাকার একাধিক এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়েছে অধিদপ্তর। এ সময় ডিম ক্রয়-বিক্রয়ের ক্যাশমেমো বা রসিদ না থাকাসহ কয়েকটি কারণে পাঁচ প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করেছে সংস্থাটি। 

শনিবার সন্ধ্যায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শনিবার সকাল আটটা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত ডিমের মূল্য তদারকির জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের তিনটি দল ঢাকা মহানগরে বাজার তদারকি অভিযান পরিচালনা করে। 

এর মধ্যে রাজধানীর অন্যতম বড় ডিমের আড়ত কাপ্তানবাজারে পাইকারি বিক্রয়মূল্য ও ক্রয়মূল্য যাচাই করা হয়। এ অভিযান পরিচালনা করেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল জব্বার মন্ডল ও প্রধান কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শরিফুল ইসলাম। 

কাপ্তানবাজারে কিছু পাইকারি আড়তে অভিযানকালে দেখা গেছে, তারা (আড়ত) বিভিন্ন ফার্ম থেকে ডিম ক্রয় করলেও সেগুলোর রসিদে ডিমের দর ও মোট টাকার কথা উল্লেখ নেই।

এ ছাড়া ডিম বিক্রির ক্ষেত্রেও পাকা রসিদ না থাকা ও ডিমের মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করার কারণে কাপ্তানবাজারের তিনটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 

প্রতিষ্ঠান তিনটি হচ্ছে মিলন এন্টারপ্রাইজ, জহিরুল ইসলাম ট্রেডার্স ও মুস্তাফিজ ট্রেডার্স। 

অন্যদিকে মোহাম্মদপুর টাউন হল বাজার এলাকায় ভোক্তা অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মাগফুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে সেখানকার ডিম বিক্রির দুটি খুচরা দোকানকে দুই হাজার টাকা জরিমানা করেছে অধিদপ্তর। 

ভোক্তা অধিকার রক্ষায় এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।