তেল-চিনির দাম ৫ টাকা করে কমল
ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা এবং চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা করে কমিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
পেঁয়াজ-ডিমের পাগলা ঘোড়ার বাজারে কিঞ্চিৎ হলেও স্বস্তির খবর নিয়ে এসেছে ভোজ্য তেল। রান্নার জন্য অতিপ্রয়োজনীয় এই পণ্যের দাম লিটারে আরও ৫ টাকা কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
অরেকটি নিত্যপণ্য চিনির দামও কেজিতে ৫ টাকা করে কমানোর ঘোষণা এসেছে। তবে যে দামে বিক্রির কথা বলা হয়েছে, বাজারে এখন তার চেয়েও বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে।
রোববার এই দুই পণ্যের পরিশোধনকারী সমিতিগুলো আলাদা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দাম কমানোর খবর দেয়।
ভোজ্য তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা এবং চিনির দাম কেজিতে ৫ টাকা করে কমিয়েছে ব্যবসায়ীরা।
ভোজ্য তেল পরিশোধনকারী সমিতি জানিয়েছে, ১৪ অগাস্ট সোমবার থেকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ১৫৪ টাকায় বিক্রি হবে, যা এখন ১৫৯ টাকায় নির্ধারিত আছে।
বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার বিক্রি হবে ১৭৪ টাকায়, যার এখনকার দাম ১৭৯ টাকা।
৫ লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল বিক্রি হবে ৮৫০ টাকায়, যা এখন ৮৭৩ টাকা নির্ধারিত আছে।
এর আগে গত ১১ জুলাই বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১০ টাকা কমিয়ে ১৭৯ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া খোলা সয়াবিন তেলের দামও লিটারে ৮ টাকা কমায় বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন।
আর খোলা পাম তেলের দাম লিটারে ৫ টাকা ও বোতলজাত পাম তেলের ১২ টাকা কমানো হয়েছিল।
চিনির দাম সবশেষ কমানো হয় গত ৬ এপ্রিল। ওইদিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চিনির দাম কেজিতে ৩ টাকা কমিয়ে দাম নির্ধারণ করে দেয়। এর পর আর চিনির দাম কমানো হয়নি; বাড়ানো হয়েছে।
বাংলাদেশ সুগার রিফাইনার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সোমবার থেকে প্রতি কেজি খোলা চিনি ১৩০ টাকা এবং প্যাকেটজাত চিনি ১৩৫ টাকায় বিক্রি হবে।
বর্তমানে মূল্য নির্ধারিত আছে প্রতি কেজি প্যাকেট ১৪০ টাকা এবং খোলা ১৩৫ টাকা।
তবে বাজারে চিনি নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। আর প্যাকেটজাত চিনি কোথাও বিক্রি হয় না।
কমেন্ট