ডিমের দাম কমছে, সবজির বাজার চড়া
বাড়তে বাড়তে সপ্তাহ খানেক আগে যে ডিমের ডজন (লাল ফার্মের) ১৮০ টাকায় উঠেছিল, সেই ডিম শুক্রবার ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ডিমের দাম কমতে শুরু করেছে। ‘দাম না কমলে, আমদানি করা হবে’ বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির এই ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই বাজার পড়তির দিকে।
বাড়তে বাড়তে সপ্তাহ খানেক আগে যে ডিমের ডজন (লাল ফার্মের) ১৮০ টাকায় উঠেছিল, সেই ডিম শুক্রবার ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
তবে বাজারে সব ধরনের সবজির দাম বেড়েছে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, টানা কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকরা খেত থেকে সবজি তুলতে পারছেন না। ফলে সরবরাহ কমে গেছে। যার প্রভাব পড়েছে বাজারে, দাম বেড়েছে।
গত ১৪ আগস্ট ডিমের উৎপাদনকারী ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে এক মত বিনিময় সভায় প্রতিটি ডিমের উৎপাদন খরচ ১০ টাকা ৫০ পয়সা হিসাব দিয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, খুচরা বাজারে প্রতি পিচ ডিম ১২ টাকার বেশি বিক্রি করলেই জরিমানা করা হবে।
এই হুসিয়ারিও ডিমের বাজারের আগুন নেভাতে ভূমিকা রেখেছে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
১৩ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুরের টাউনহল বাজারে সাশ্রয়ী মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রম উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, “ডিমের দাম না কমলে আমদানি করা হবে।”
তবে গত সপ্তাহের মতোই বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে পেঁয়াজ। মাছ-মাংসের বাজারেও একই অবস্থা। ছুটির দিন শুক্রবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে।
গত সপ্তাহে ৪০ টাকা কেজিতে আলু বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে কেজিপ্রতি ৫ টাকা বেড়েছে। বড় আকারের বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৮০ টাকা। করলাম দামেও রয়েছে সেঞ্চুরি।
ঢেঁড়স ও পটলের কেজিও ৬০ টাকা। মরিচ ডাবল সেঞ্চুরি পার করেছে। ২২০ টাকা কেজিপ্রতি বিক্রি হচ্ছে। দামাদামি করে কেউ কেউ ২০০ টাকায় কিনতে পারছেন। টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২৮০-৩৬০ টাকায়। সস্তা সবজি হিসেবে পরিচিত পেঁপে কেজিও ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
সবজির দাম বাড়া নিয়ে শেওড়াপড়া বাজারের ব্যবসায়ী আকরাম হোসেন বলেন, “কয়েক দিন টানা বৃষ্টির কারণে সবজি আসছে কম। তাতে দাম বেড়েছে। এর মধ্যে বেশি বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। বাজারে পণ্যসরবরাহ বাড়লে দাম কমবে।”
এদিকে ঈদের আগে ৬৫-৭০ টাকা কেজিতে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হলেও এখন ৭৫-৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারত থেকে আমদানি করা পেঁয়াজও বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। আগে ৩৫-৪৫ টাকায় বিক্রি হওয়া পেঁয়াজ এখন বিক্রি হচ্ছে ৫০-৫৫ টাকায়।
সরবরাহ কম থাকায় মাছের বাজারও চড়া। গরীবের মাছ হিসেবে পরিচিত পাঙ্গাসের দামও এখন ২৫০-২৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি। এ ছাড়া দাম বেড়ে তেলাপিয়া মাছের, কেজি ২৫০ টাকা ছাড়িয়েছে।
মাঝারি ও বড় মানের তেলাপিয়া প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২৫০-২৮০ টাকায়। ২০-৫০ টাকা বেড়ে এক কেজি ওজনের চাষের রুই-কাতলা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকা কেজি। প্রতি ৬০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ১ হাজার ২০০ টাকা কেজি এবং এক কেজি সাইজের ইলিশ ১ হাজার ৮০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হতে দেখা গেছে। এ ছাড়া বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ থেকে ২০০ টাকা কেজি।
শেওড়াপাড়া বাজারের মাছ বিক্রেতা দুর্জয় বলেন, “গত শুক্রবারের চেয়ে এখন প্রতিটি মাছে কেজিতে ৩০ থেকে ৪০ টাকা বেড়েছে। এতে আমাদের বেচাকেনা কমেছে। ক্রেতারা কম নিচ্ছেন।”
কমেন্ট