চীন মিশর পাকিস্তানসহ ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

চীন মিশর পাকিস্তানসহ ৯ দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

ভারতের শুল্ক আরোপের পর দেশে এই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়। ফাইল ছবি

ভারত ছাড়াও চীন, মিশর,পাকিস্তানসহ নয় দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। এই নয়টি দেশ থেকে জরুরিভিত্তিতে ২১ হাজার ৫৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।

ভারতের শুল্ক আরোপের পর দেশে এই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বৃহস্পতিবার জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।

চীন থেকে ২ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন, মিশর থেকে ৩ হাজার ৯১০ টন, পাকিস্তান থেকে ১১ হাজার ৮২০ মেট্রিক টন এবং কাতার থেকে ১ হাজার ১০০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া তুরস্ক থেকে ২ হাজার ১১০ মেট্রিক টন, মিয়ানমার থেকে ২০০ মেট্রিক টন, থাইল্যান্ড থেকে ৩৩ মেট্রিক টন, নেদারল্যান্ডস থেকে ৪ মেট্রিক টন এবং আমিরাত থেকে ৩ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার।

এ পর্যন্ত ১৩ লাখ ৭৩ হাজার মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়েছে জানিয়ে কৃষি মন্ত্রণালয় বলছে, এর বিপরীতে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ৩ লাখ ৭৯ হাজার টন পেঁয়াজ দেশে এসেছে।

সরকারি হিসাবে দেশে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ টনের মতো, যা উৎপাদনের চেয়ে কম। কিন্তু উৎপাদনের এক-তৃতীয়াংশ নষ্ট হয়ে যায়। যে কারণে আমদানি করতেই হয়, আর এর বেশিটা আসে ভারত থেকে।

২০১৯-২০ সালে ভারতে পেঁয়াজ সংকটের পর সে সময় বাংলাদেশে প্রতি কেজির দাম ২০০ টাকায় উঠেছিল। তখন বাজার সামাল দিতে মিয়ানমার, তুরস্ক, চীন ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয়েছিল।

এবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় চীন, জাপান, ইরান, মিশর ও তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে বলে কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক আগেই জানিয়েছিলেন।

অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম বাড়তে থাকায় রপ্তানি নিরুৎসাহিত করতে  গত ১৯ আগস্ট পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে ভারত। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই শুল্ক আরোপিত থাকবে।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিদিনের খুচরা বাজার দর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৮৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। 

একদিন আকে দুইতিন দিন দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৮৫ থেকে ৯০ টাকায়। আমদানি করা পেঁয়াজের দর ছিল ৬৫ থেকে ৭০ টাকা। এক মাস আগে ২১ জুলাই দেশি পেঁয়াজের দর ছিল ৬৫ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল ৫০ টাকায়। 

বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম এমনিতেই ঊর্ধ্বমূখী ছিল। ভারত শুল্ক আরোপ করায় তা আরও বেড়ে গেছে।

 

চিনি রপ্তানি বন্ধ করছে ভারত, বিশ্ববাজারে হৈ চৈ পরবর্তী

চিনি রপ্তানি বন্ধ করছে ভারত, বিশ্ববাজারে হৈ চৈ

কমেন্ট