পেঁয়াজ চাষে আরও ১৬ কোটি টাকা প্রণোদনা
প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের নাবী জাতের এক কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ২০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন। এছাড়া জমি প্রস্তুত ও শ্রমিকের মজুরি বাবদ এক কৃষককে দুই হাজার টাকা করে নগদ দেওয়া হবে। ফাইল ছবি
চলতি অর্থবছরে নাবী জাতের (লেইট ভ্যারাইটি) গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের আবাদ ও উৎপাদন বাড়াতে আরও ১৬ কোটি ২০ লাখ টাকার প্রণোদনা দেবে সরকার।
দেশের ১৮ হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষককে এই প্রণোদনার আওতায় বিনামূল্যে বীজ ও সার দেওয়া হবে বলে মঙ্গলবার কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
প্রণোদনার আওতায় একজন কৃষক এক বিঘা জমিতে চাষের জন্য গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের নাবী জাতের এক কেজি বীজ, ২০ কেজি ডিএপি ও ২০ কেজি এমওপি সার বিনামূল্যে পাবেন।
এছাড়া জমি প্রস্তুত ও শ্রমিকের মজুরি বাবদ এক কৃষককে দুই হাজার টাকা করে নগদ দেওয়া হবে।
নভেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত নাবী জাতের পেঁয়াজ রোপণ করা হয়। জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে এই পেঁয়াজ বাজারে আসবে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের নিয়মিত বাজেট কৃষি পুনর্বাসন সহায়তা এবং বীজ ও চারা খাত থেকে এই প্রণোদনা দেওয়া হবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এ সংক্রান্ত আদেশ ইতোমধ্যে জারি করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে শিগগিরই এসব প্রণোদনা বিতরণ কার্যক্রম শুরু হবে।
গ্রীষ্মকালীন পেঁয়াজের উৎপাদন বাড়াতে এর আগে প্রথম ধাপে ১৮ হাজার কৃষককে ১৬ কোটি টাকার প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। ওই পেঁয়াজ নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে বাজারে আসবেG
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিদিনের খুচরা বাজার দর অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ৮০ থেকে ৯০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৬৫ থেকে ৭৫ টাকায়।
বাংলাদেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম এমনিতেই ঊর্ধ্বমূখী ছিল। গত ২০ আগস্ট ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির উপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করায় তা আরও বেড়ে গেছে।
সরকার অবশ্য ভারত ছাড়াও চীন, মিশর, পাকিস্তানসহ নয় দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এই নয়টি দেশ থেকে জরুরিভিত্তিতে ২১ হাজার ৫৮০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি করা হবে।
ভারতের শুল্ক আরোপের পর দেশে এই নিত্যপণ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় এই পদক্ষেপ নেওয়ার কথা জানিয়েছে কৃষি মন্ত্রণালয়।
কমেন্ট