আলুর কেজি কোনোক্রমেই ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না: কৃষিমন্ত্রী
সোমবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
আলুর কেজি কোনোক্রমেই ৪০ থেকে ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক।
তিনি বলেন, “বাজারে ৬০ টাকা, ৭০ টাকা ও ৮০ টাকা আলুর কেজি হবে কেন? কোনোক্রমেই আলুর কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না “
সোমবার সচিবালয়ে কৃষি মন্ত্রণালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।
বারবার সিন্ডিকেটের কথা বলছেন। কিন্তু মানুষতো অসহায় —এ বিষয়ে এক সাংবাদিক কৃষিমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, “আমরা সিন্ডিকেটের কথা বলছি না, আপনারা বলছেন। কিন্তু একটি বিষয় খুবই স্পষ্ট যে, কোনোক্রমেই আলুর কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকার বেশি হতে পারে না। ৬০ টাকা, ৭০ টাকা ও ৮০ টাকা আলুর কেজি হবে কেন?”
আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “এক কেজি আলুতে যদি একজন ২০ থেকে ২৫ টাকা অতিরিক্ত খরচ করেন, কেন সে এটা করবেন? মানুষের ক্রয় ক্ষমতার চিন্তা করে আমরা আলু আমদানির অনুমতি দিয়েছি। আমার মনে হয়, এটা তাদের জন্য সহায়ক হবে।”
আলু আমদানির সিদ্ধান্ত বাজারে প্রভাব পড়বে কি না— জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “পড়বে অবশ্যই পড়বে। পড়বে বলেই আমরা অনুমতি দিয়েছি। এখন আপনারা সহযোগিতা করেন। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ও বলেছে, তারা তৎপরতা বাড়াবে।”
ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়ার পরও মানুষের কোনো লাভ হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, “আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বেশি থাকলে কী করা যাবে?”
ভারতে ডিমের ডজন ৭০ টাকা, আর আমাদের ৭০ টাকা এক হালি। এ রকম অবস্থা কী করে হচ্ছে— এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে ডিমের দাম কম। কিন্তু আমাদের কাছে তথ্য আছে—শ্রীলঙ্কা ও ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে অস্বাভাবিক, ডিমের দাম বেশি। সমস্ত ডিম ওই এলাকায় যাচ্ছে, আমাদের দিকে আসছে না। এ জন্যই দাম অনেক বেশি।”
তিনি বলেন, “ভারত থেকে প্রতিদিন ১০ কোটি করে ডিম যাচ্ছে শ্রীলঙ্কায়। আমরা অনুমতি দেওয়ার পরও ব্যবসায়ীরা কেন আনছেন না? তারা তো বসে নেই। লাভ দেখলে তারা নিশ্চয়ই আমদানি করে আনতেন। আমদানি করে শ্রীলঙ্কা। কেরালায়ও দাম অনেক বেশি। আপনি টেলিফোন করে দেখতে পারেন।”
কমেন্ট