চালসহ ৪ পণ্যের শুল্ক কমানোর নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শুল্ক কমানোর এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন।
চালসহ চার নিত্যপণ্য আমদানির ওপর শুল্ক কমানোর নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অন্য তিনটি পণ্য হচ্ছে—ভোজ্যতেল, চিনি ও খেজুর।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শুল্ক কমানোর এই নির্দেশ দিয়েছেন বলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন জানিয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার এ বৈঠক হয়। পরে বিকেলে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে প্রধানমন্ত্রীর এ নির্দেশসহ মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
মাহবুব হোসেন বলেন, “পবিত্র রমজান মাসকে সামনে রেখেই এই চার পণ্যের ওপর শুল্ক কমানোর জন্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এসব পণ্যে শুল্ক কী পরিমাণ কমানো হবে, তা এনবিআর এখন ঠিক করবে।”
দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দীর্ঘদিন ধরে ৯ শতাংশের ওপরে রয়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ গত ডিসেম্বর মাসের হিসাবে সার্বিক মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪১ শতাংশ।
এই মাসে গ্রাম-শহরনির্বিশেষে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৫৮ শতাংশ, অর্থাৎ এক বছর আগের চেয়ে অতিরিক্ত দামে মানুষকে খাদ্য কিনতে হচ্ছে।
অন্যদিকে মূল্যস্ফীতির তুলনায় সাধারণ মানুষের আয় তেমন বাড়েনি। উচ্চ মূল্যস্ফীতি সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রাকে আরও কঠিন করে তুলছে। তবে কোনো ব্যবস্থাই বেশির ভাগ পণ্যের মূল্য কমাতে পারছে না।
চালের বাজারে সরকারি অভিযান, কিছু পণ্যের দাম বেঁধে দেওয়া, সবজির মৌসুমি সরবরাহ—প্রত্যাশা করা হয়েছিল, এসব কারণে বাজারে স্বস্তি আসবে। কিন্তু বাজারে গিয়ে ভোক্তার স্বস্তি মিলছে না।
বছরের শুরুতে চালের দাম বেড়ে যাওয়াকে অস্বাভাবিক হিসেবে চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হলেও ঢাকার বাজারে চালের দামে উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে না। উল্টো গত এক সপ্তাহে বেড়েছে নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি পণ্যের দাম।
চালের দাম হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ার পর খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার দাম কমাতে ব্যবসায়ীদের চার দিন সময় বেঁধে দেন। ১৭ জানুয়ারি চালের দাম আগের পর্যায়ে নিয়ে আসার এই নির্দেশে সায় দিয়েছিলেন ব্যবসায়ীরাও। এরপর চালের বিভিন্ন মোকামে ও বাজারে সরকারি অভিযান চলে, জরিমানা করা হয় অনেক ব্যবসায়ীকে। ফলে জেলাপর্যায়ে চালের দাম কিছুটা কমলেও ঢাকার বাজারে এর প্রভাব খুব একটা দেখা যাচ্ছে না।
কমেন্ট