বিশ্ববাজারে খাদ্যের দাম ৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন
শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে মূল্যসূচকের গড় পয়েন্ট ছিল ১১৮, যা ২০২১ সালের পর সর্বনিম্ন। এটি ২০২৩ সালের জানুয়ারির চেয়ে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ কম। গত ডিসেম্বরে এই পয়েন্ট ছিল ১১৯.১।
বিশ্ব অর্থনীতির জন্য সুখবর। আন্তর্জাতিক বাজারে খাদ্যের দাম বেশ কমেছে। বিশ্বে শস্য উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ায় প্রধান খাদ্যগুলোর দাম গত তিন বছরের মধ্যে জানুয়ারিতে ছিল সবচেয়ে কম। জাতিসংঘের খাদ্য সংস্থার মূল্যসূচক এমনই তথ্য দিচ্ছে।
গম, ভুট্টার মতো শস্য ও মাংসের দাম কমায় বিশ্ব খাদ্য মূল্যসূচকের এমন পতন হয়েছে।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (এফএও) শুক্রবার প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জানুয়ারিতে তাদের মূল্যসূচকের গড় পয়েন্ট ছিল ১১৮, যা ২০২১ সালের পর সর্বনিম্ন। এটি ২০২৩ সালের জানুয়ারির চেয়ে ১০ দশমিক ৪ শতাংশ কম। গত ডিসেম্বরে এই পয়েন্ট ছিল ১১৯.১।
এফএওর মাসিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রপ্তানিকারকদের মধ্যে শক্তিশালী প্রতিযোগিতা এবং দক্ষিণ গোলার্ধের দেশগুলোতে সম্প্রতি ফসল কাটার ফলে বাজারে সরবরাহ বাড়ায় জানুয়ারিতে বিশ্বব্যাপী গমের রপ্তানিমূল্য কমেছে।
জানুয়ারিতে ভুট্টার দামও অনেক দ্রুত কমেছে। বিশ্বজুড়ে ফলন ভালো হওয়ায় ও আর্জেন্টিনায় ফসল কাটার মওসুম শুরু এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে সরবরাহ বাড়ায় ভুট্টার দাম কমেছে।
শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশগুলো থেকে সরবরাহ বাড়ায় আন্তর্জাতিক বাজারে হাঁস, গরুর মাংসের দামও কমেছে। এতে মাংসের মূল্যসূচকও টানা সপ্তম মাসের মতো কমেছে। তবে ভেড়া, ছাগল ও খাসির মাংসের দাম বেড়েছে।
আরেকটি প্রতিবেদনে এফএও বলেছে, ২০২৩ সালে বিশ্বে শস্য উৎপাদন হয়েছে এ যাবতকালের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। গত বছর বিশ্বে ২.৮৩৬ বিলিয়ন মেট্রিক টন শস্য উৎপাদন হয়েছে, যা তার আগের বছরের চেয়ে ১.২ শতাংশ বেশি।
কানাডা, চীন, তুরস্ক ও যুক্তরাষ্ট্রে এবার প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ভুট্টার ফলন হয়েছে। এছাড়া এবার আগের চেয়ে বেশি পরিমাণ জমিতে আবাদ হওয়ায় ভুট্টার উৎপাদন বেড়েছে।
দুধ জাতীয় খাদ্যপণ্যের মূল্যসূচক ডিসেম্বর থেকে কার্যত অপরিবর্তিত রয়েছে। তবে তা এক বছর আগের চেয়ে ১৭.৮ শতাংশ কম।
এশিয়ায় চাহিদা বাড়ায় মাখন ও পাউডার দুধের দাম বেড়েছে। তবে ননিযুক্ত পাউডার দুধ ও পনিরের দাম কমেছে।
২০২৪ সালের জানুয়ারির বিশ্ব খাদ্য মূল্যসূচক অনুযায়ী, উদ্ভিজ্জ তেলের মূল্যসূচক ডিসেম্বর থেকে সামান্য বেড়েছে, দশমিক ১ শতাংশ। তবে তা গত বছরের চেয়ে ১২.৮ শতাংশ কম।
প্রধান উৎপাদনকারী দেশগুলোতে মৌসুমী কম উৎপাদন এবং মালয়েশিয়ার প্রতিকূল আবহাওয়া নিয়ে উদ্বেগের কারণে পাম তেলের দাম কিছুটা বেড়েছে।
বিভিন্ন দেশের আমদানি চাহিদা বাড়ায় সূর্যমুখী তেলের দাম বেড়েছে। দক্ষিণ আমেরিকা থেকে সরবরাহ বাড়ার সম্ভাবনা এবং ইউরোপে পর্যাপ্ত ফলন হওয়ায় সয়া ও রেপসিড তেলের দাম কমেছে।
ব্রাজিলে কম বৃষ্টিপাত এবং থাইল্যান্ড ও ভারতে উৎপাদন কমায় চিনির দাম দশমিক ৮ শতাংশ বেড়েছে।
কমেন্ট