ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির পারদ কিছুটা নেমেছে

ফেব্রুয়ারিতে মূল্যস্ফীতির পারদ কিছুটা নেমেছে

গত বছরের জানুয়ারি মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

দেশের অর্থনীতির সবচেয়ে উদ্বেগজনক সূচক হচ্ছে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে (মাসভিত্তিক) চলতি বছরের দ্বিতীয় মাস ফেব্রুয়ারিতে দেশে ৯ দশমিক ৬৭ শতাংশ মূল্যস্ফীতি হয়েছে।

আগের মাস জানুয়ারিতে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ।

এর মানে হচ্ছে— ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে যে পণ্য বা সেবা ১০০ টাকায় পাওয়া যেত, তা এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে পেতে ১০৯ টাকা ৬৭ পয়সা ব্যয় করতে হয়েছে।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) বুধবার রাতে মূল্যস্ফীতির হালনাগাদ এই তথ্য প্রকাশ করে।

বিবিএসের তথ্যানুযায়ী, ফেব্রুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৪৪ শতাংশ। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশ।

জানুয়ারিতে খাদ্য মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ।

এতে দেখা যাচ্ছে, খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত উভয় খাতেই মূল্যস্ফীতি কমেছে।

পর পর দুই মাস কমে গত বছরের শেষ দুই মাস নভেম্বর ও ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতির হার কমে যথাক্রমে ৯ দশমিক ৪৯ এবং ৯ দশমিক ৪১ শতাংশে নেমেছিল। তার আগের মাস অক্টোবরে এই হার উঠেছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশে।

আর গত বছরের মে মাসে এক যুগের মধ্যে সর্বোচ্চ ৯ দশমিক ৯৪ শতাংশে উঠেছিল মূল্যস্ফীতির পারদ। সবশেষ জানুয়ারি মাসের মূল্যস্ফীতি উঠেছে ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশে, যা ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।

গত বছরের জানুয়ারি মাসে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

বিবিএসের তথ্যে দেখা যায়, ফেব্রুয়ারিতে শহরের পাশাপাশি গ্রামেও মূল্যস্ফীতি কমেছে। এই মাসে গ্রামে সার্বিক মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ৪৮ শতাংশ; শহরে ৯ দশমিক ৮৮ শতাংশ।

জানুয়ারিতে শহরে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল ৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ। গ্রামে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৭০ শতাংশ।

গত ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৭ দশমিক ৪৮ শতাংশ। দেশে জ্বালানি তেলের দাম ৫০ শতাংশের মতো বৃদ্ধি করার কারণে আগস্টে তা এক লাফে বেড়ে ৯ দশমিক ৫২ শতাংশে উঠে যায়। সেপ্টেম্বরে তা কমে ৯ দশমিক ১০ শতাংশে নেমে আসে।

অক্টোবরে তা আরও কমে ৯ শতাংশের নিচে ৮ দশমিক ৯১ শতাংশে নেমে আসে। নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি হয় ৮ দশমিক ৮৫ শতাংশ। ডিসেম্বরে তা কমে ৮ দশমিক ৭১ শতাংশে নেমে আসে।

২০২৩ সালের জানুয়ারিতে তা আরও কমে ৮ দশমিক ৫৭ শতাংশে নেমে আসে। ফেব্রুয়ারি মাসে তা বেড়ে হয় ৮ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মার্চ মাসে মূল্যস্ফীতি ৯ অংকের ঘর ছাড়িয়ে ৯ দশমিক ৩৩ শতাংশে ওঠে।

এর পর থেকে ৯ শতাংশের উপরেই অবস্থান করছে।

চিনির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়াল টিসিবি পূর্ববর্তী

চিনির দাম কেজিতে ৩০ টাকা বাড়াল টিসিবি

সর্বোচ্চ উচ্চতায় সোনার দর, ভরি ১১২৯০৮ টাকা পরবর্তী

সর্বোচ্চ উচ্চতায় সোনার দর, ভরি ১১২৯০৮ টাকা

কমেন্ট