ডিজেলের দাম ৭৫ পয়সা, পেট্রোল ৩ টাকা, অকটেন ৪ টাকা কমল
জ্বালানি তেলের দাম এই হারে পুনর্নির্ধারণ করে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। শুক্রবার থেকেই এ দর কার্যকর হবে।
আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মিল রেখে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রতি মাসে দাম সমন্বয় শুরুর প্রথম মাসে জ্বালানি তেলের দাম কমেছে।
প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৯ টাকা থেকে কমে হয়েছে ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা। পেট্রোলের দাম ১২৫ টাকা থেকে কমে ১২২ টাকা হয়েছে। আর অকটেনের দাম ১৩০ টাকা থেকে কমে ১২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থাৎ, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ৭৫ পয়সা; পেট্রোলে ৩ টাকা এবং অকটেনে ৪ টাকা কমেছে।
জ্বালানি তেলের দাম এই হারে পুনর্নির্ধারণ করে বৃহস্পতিবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। শুক্রবার থেকেই এ দর কার্যকর হবে।
২০২২ সালের ৩০ আগস্টের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এতদিন ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিন ১০৯ টাকা, পেট্রোল ১২৫ টাকা এবং অকটেন ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছিল।
জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি। এতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে বেশি ব্যবহৃত হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাস দ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়।
অকটেন ও পেট্রল বিক্রি করে সব সময়ই মুনাফা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিপিসি। মূলত ডিজেলের ওপর বিপিসির লাভ-লোকসান নির্ভর করে। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল। দীর্ঘ সময় ধরে ডিজেল বিক্রি করেও মুনাফা করছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে বর্তমানে ডিজেল থেকে তেমন মুনাফা হচ্ছে না।
জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ। ভর্তুকির চাপ এড়াতে ২০২২ সালের আগস্টে গড়ে ৪২ শতাংশ বাড়ানো হয় জ্বালানি তেলের দাম। এরপর ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২৩ দিনের মাথায় ওই মাসের শেষ দিকে প্রতি লিটারে ৫ টাকা করে কমানো হয় দাম।
কমেন্ট