ডিজেল ও কেরোসিনের দাম কমল ২ টাকা ২৫ পয়সা
স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় শুরুর দ্বিতীয় মাসে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ২ টাকা ২৫ পয়সা করে কমানো হয়েছে। তবে পেট্রোল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
ডিজেল ও কেরোসিনের দাম আরও কমল। চলতি মার্চ মাসের জন্য ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ৭৫ পয়সা কমানো হয়েছিল। এপ্রিলের জন্য কমানো হয়েছে ২ টাকা ২৫ পয়সা।
স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে প্রতি মাসে জ্বালানি তেলের দাম সমন্বয় শুরুর দ্বিতীয় মাসে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ২ টাকা ২৫ পয়সা করে কমানো হয়েছে। তবে পেট্রোল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
প্রতি লিটার ডিজেল ও কোরোসিনের দাম ১০৮ টাকা ২৫ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০৬ টাকা।
আর প্রতি লিটার পেট্রোল আগের মতই ১২২ টাকা এবং অকটেন ১২৬ টাকায় বিক্রি হবে।
জ্বালানি তেলের দাম এই হারে পুনর্নির্ধারণ করে রোবাবর প্রজ্ঞাপন জারি করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। রোববার মধ্যরাত থেকেই নতুন দরে তেল মিলবে পাম্পে।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফর্মুলা বা গাইডলাইন অনুসারে এখন থেকে প্রতি মাসেই জ্বালানি তেলের আমদানি মূল্যের আলোকে ভোক্তা পর্যায়ে বিক্রয়মূল্য সমন্বয় করা হবে।
সরকার গত ২৯ ফেব্রুয়ারি জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে মূল্য নির্ধারণের নির্দেশিকা প্রকাশ করে। এরপর মার্চ মাসে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটারে ৭৫ পয়সা; পেট্রোলে ৩ টাকা এবং অকটেনে ৪ টাকা কমানো হয়। এপ্রিলে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম আরো একটু কমল।
অকটেন ও পেট্রল ব্যবহার করা হয় গাড়ি ও মোটরসাইকেলে। আর বাস, ট্রাক, নৌযান এবং কিছু ক্ষেত্রে সেচ পাম্পে ডিজেল ব্যবহার করা হয়। ডিজেলের দাম কমায় বাস, ট্রাক ও নৌযানের ভাড়া সামান্য হলেও কমানোর সুযোগ তৈরি হল।
প্রতিবেশী দেশ ভারতের সঙ্গে তুলনামুলক চিত্রে দেখা যায়, কলকাতায় বর্তমানে প্রতি লিটার ডিজেলের দাম ৯০.৭৬ রুপি, বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৩০ টাকা ৬৯ পয়সা এবং পেট্রোল ১০৯.৯৪ রুপি বা ১৫৮ টাকা ৩১ পয়সা (১ রুপি = ১.৪৪ টাকা) ।
অকটেন ও পেট্রল বিক্রি করে সব সময়ই মুনাফা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বিপিসি। মূলত ডিজেলের ওপর বিপিসির লাভ-লোকসান নির্ভর করে। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল।
জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।
ভর্তুকির চাপ এড়াতে ২০২২ সালের আগস্টে গড়ে ৪২ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল জ্বালানি তেলের দাম। এরপর ব্যাপক সমালোচনার মুখে ২৩ দিনের মাথায় ওই মাসের শেষ দিকে সব কটির ক্ষেত্রেই প্রতি লিটারে ৫ টাকা করে কমানো হয় দাম।
কমেন্ট