১২ কেজি এলপিজির দাম কমল ৪৯ টাকা
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নতুন দর ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য হ্রাস পাওয়ায় দেশের বাজারে মে মাসের জন্য এলপিজির দাম কেজিতে ৪ টাকা ১০ পয়সা করে কমানো হয়েছে। সেই হিসাবে বহু ব্যবহৃত ১২ কেজির এলপিজি সিলিন্ডার কিনতে একজন গ্রাহকের ৪৯ টাকা সাশ্রয় হবে।
আগের মাস এপ্রিলে এটি ৪০ টাকা কমানো হয়েছিল।
বিশ্ববাজারের সঙ্গে সমন্বয় করে দেশে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) নতুন দর ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
ঘোষিত নতুন দর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কার্যকর হবে। মে মাসের জন্য প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৯৩ টাকা। গত এপ্রিলে দাম ছিল ১ হাজার ৪৪২ টাকা।
এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় গৃহস্থালির কাজে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিইআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর জানানো হয়। সংস্থাটি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে। তবে সব জায়গায় কার্যকর হতে দেখা যায় না।
বিইআরসির চেয়ারম্যান নূরুল আমিন নতুন এই দর ঘোষণা করেন।
২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো।
এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।
বিইআরসির নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাটসহ) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১১৬ টাকা ৮ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ১২০ টাকা ১৮ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।
সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দাম ৬৯০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা, যা এত দিন ছিল ৬৬ টাকা ২১ পয়সা।
বাজারে সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়। গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বাজারের ৯৯ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতের দখলে।
কমেন্ট