বুধবার থেকে দেশের বাজারে এক গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনা কিনতে ৯ হাজার ৮৯৮ টাকা লাগবে; এক ভরিতে লাগবে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা।

সোনার দাম আরও বেড়েছে। এক দিনের ব্যবধানেই সবচেয়ে ভালো মানের (২২ ক্যারেট) সোনার দাম ভরিতে ৪ হাজার ৫০২ টাকা বাড়িয়েছে দেশের স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি-বাজুস।

অন্যান্য মানের সোনার দামও প্রায় একই হারে বাড়ানো হয়েছে।

বাজুসের ঘোষণা অনুযায়ী, বুধবার থেকে দেশের বাজারে এক গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনা কিনতে ৯ হাজার ৮৯৮ টাকা লাগবে; অর্থাৎ এক ভরি সোনা কিনতে লাগবে ১ লাখ ১৫ হাজার ৪৫০ টাকা (১ ভরিতে ১১.৬৬৪ গ্রাম)।

২১ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনা কিনতে লাগবে ১ লাখ ১০ হাজার ২০১ টাকা। ১৮ ক্যারেটে লাগবে ৯৪ হাজার ৪৫৫ টাকা।

আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনা বিক্রি হবে ৭৮ হাজার ৯০ টাকায়।

মঙ্গলবার পর্যন্ত হলমার্ক করা এক গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনা কিনতে ৯ হাজার ৫১২ টাকা লেগেছে। এক ভরি সোনা কিনতে লেগেছে ১ লাখ ১০ হাজার ৯৪৮ টাকা।

২১ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনা কিনতে লেগেছে ১ লাখ ৫ হাজার ৮৯৭ টাকা। ১৮ ক্যারেটে লেগেছে ৯০ হাজার ৭৬৯ টাকা। সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনা বিক্রি হয়েছে ৭৫ হাজার ৪৮৯ টাকায়।

হিসাব করে দেখা যাচ্ছে, এক দিনের ব্যবধানে প্রতিভরি ২২ ক্যারেট সোনার দাম বেড়েছে ৫ হাজার ৫০২ টাকা। ২১ ক্যারেটের বেড়েছে ৪ হাজার ৩০৪ টাকা। ১৮ ক্যারেটের বেড়েছে ৩ হাজার ৬৮৬ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি সোনার দাম বেড়েছে ২ হাজার ৬০১ টাকা।

মঙ্গলবার রাতে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

বুধবার থেকে এই দর কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাজুস।

টানা আট দফায় ভরিতে ১০ হাজার ২৬৬ টাকা কমানোর পর গত শনিবার (৪ মে) সবচেয়ে ভালো মানের সোনার দর ভরিতে ১ হাজার ৫০ টাকা বাড়িয়েছিল বাজুস। পরের দিন রবিবার বাড়ানো হয় ৭৩৫ টাকা। মঙ্গলবার বাড়ানো হয়েছে ৪ হাজার ৫০২ টাকা।

এ নিয়ে তিন দফায় ২২ ক্যারেট সোনার দাম ভরিতে ৬ হাজার ২৮৭ টাকা বাড়ানো হলো।

টানা বাড়তে বাড়তে গত ১৮ এপ্রিল অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২২ ক্যারেট সোনার ভরি ১ লাখ ১৯ হাজার ৬৩৮ টাকায় উঠেছিল। এর পর নিম্মমূখী হয় সোনার দর।

গত ৪ মে থেকে ফের বাড়ছে।

এমনিতেই বেশ কিছু দিন ধরে বিশ্ববাজারে সোনার দাম বেশ চড়া ছিল। মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের ডামাডোলে তা আরও ঊর্ধ্বমুখী হয়। প্রতি আউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) সোনার দাম প্রায় ২ হাজার ৪০০ ডলারে উঠেছিল।

তবে মাঝে বেশ খানিকটা কমেছিল। চার-পাঁচ তিন ধরে ফের বাড়ছে। তবে মঙ্গলবার কিছুটা কমেছে; এদিন রাত পৌনে ৯টায় প্রতি আউন্স সোনা ৬ ডলার ৮৯ সেন্ট বা দশমিক ৩০ শতাংশ কমে ২ হাজার ৩১৯ ডলার ৩৬ সেন্টে বিক্রি হয়েছে।

বিশ্বে যে কোনও অনিশ্চয়তা দেখা দিলেই সোনার দাম চড়তে থাকে। বিশ্ববাজারের প্রভাব তখন স্থানীয় বাজারেও পড়ে।

কোভিড মহামারির পর ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হলে সোনার দাম বাড়লেও পরে স্থিতিশীল হয়েছিল।

ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝিতে প্রতি আউন্সের দাম ছিল ২ হাজার ডলারের নিচে। মধ্যপ্রাচ্যে চলমান অস্থিরতায় মূল্যবান এই ধাতুর দাম বাড়তে বাড়তে প্রতি আউন্সের দর প্রায় ২ হাজার ৪০০ ডলারে উঠেছিল।