এলপিজির দাম আরও কমল
ঘোষিত নতুন দর অনুযায়ী, চলতি জুন মাসের জন্য প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা। গত মাসে দাম ছিল ১ হাজার ৩৯৩ টাকা।
দেশে ভোক্তাপর্যায়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম আরও কমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় দেশের বাজারে জুন মাসের জন্য এলপিজির দাম কেজিতে ২ টাকা ৫৩ পয়সা করে কমানো হয়েছে।
তাতে গৃহস্থালীর কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ১২ কেজি ওজনের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম কমেছে ৩০ টাকা ৩৬ পয়সা।
এর আগের দুই মাসেও এলপিজির দাম কমানো হয়েছিল। মে মাসে কমেছিল ৪৯ টাকা। এপ্রিলে কমানো হয়েছিল ৪০ টাকা।
সোমবার জুন মাসের জন্য এলপিজির নতুন দর ঘোষণা করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) জানিয়েছে, সন্ধ্যা ৬টা থেকেই নতুন দর কার্যকর হবে।
ঘোষিত নতুন দর অনুযায়ী, চলতি জুন মাসের জন্য প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা। গত মাসে দাম ছিল ১ হাজার ৩৯৩ টাকা।
সোমবার বিইআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর জানানো হয়। বিইআরসির চেয়ারম্যান নূরুল আমিন নতুন এই দর ঘোষণা করেন। সংস্থাটি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে।
তবে সব জায়গায় তা কার্যকর হতে দেখা যায় না।
২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি।
আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।
বিইআরসির নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাটসহ) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১১৩ টাকা ৫৫ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ১১৬ টাকা ৮ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।
সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দাম ৬৯০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬২ টাকা ৫৩ পয়সা, যা এত দিন ছিল ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা।
বাজারে সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়। গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বাজারের ৯৯ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতের দখলে।
কমেন্ট