ডিমের ডজন ১৭০ টাকা
তিন দিন আগেও প্রতিহালি ডিম ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে; ডজন বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়।
হঠাৎ করেই বাজারে ডিমের দাম বেড়েছে। শনিবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি ডজন ডিম ১৬৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে। হালি বিক্রি হয়েছে ৫৫ টাকায়।
পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোতে প্রতি ডজন ডিম ১৭০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। হালি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা।
তিন দিন আগেও প্রতিহালি ডিম ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে; ডজন বিক্রি হয়েছে ১৫০ টাকায়।
কোরবানি ঈদে ডিমের চাহিদা বাড়ে না; উল্টো কমে। তার পরও ডিমের দাম কেনো বাড়ল—তার কোনো বলতে পারছেন না ব্যবসায়ীরা।
শনিবার রাজধানীর শেওড়াপাড়া ও কারওয়ান বাজারে ফার্মের মুরগির প্রতি ডজন বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে ১৬৫ টাকা দরে। খুচরা দোকানগুলোয় তা ১৭০ টাকা দরেও বিক্রি হতে দেখা গেছে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা দরে ডিম বিক্রি হয়েছে।
বিক্রেতারা জানান, গত এক-দুই দিনের ব্যবধানে প্রতি ১০০ পিস ডিমের দাম পাইকারিতে প্রায় ৩৫-৪০ টাকা বেড়েছে। খুচরা পর্যায়েও ডজনপ্রতি দাম বেড়েছে চার-পাঁচ টাকা করে। এ নিয়ে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের দাম ডজনপ্রতি ১৫ থেকে ২০ টাকার মতো বেড়েছে।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিদিনের খুচরা বাজার দর অনুযায়ী, শনিবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতিহালি ফার্মের ডিম ৫৩ থেকে ৫৪ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা।
কিন্তু কারওয়ান বাজার ও শেওড়াপাড়া বাজারে প্রতিহালি ডিম ৫৫ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
শেওড়াপাড়া বাজারের ডিম বিক্রেতা মোবারক হোসেন এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “সকাল থেকে বাদামি ডিম ডজনপ্রতি ১৬৫ টাকা করে বিক্রি করছি। পাইকারিতে দাম বৃদ্ধির কারণে আমাদের বেশি দামে ডিম বিক্রি করতে হচ্ছে।”
ঈদে তো ডিমের চাহিদা বাড়ে না, তার পরও কেনো দাম বেড়েছে—এ প্রশ্নের উত্তরে মোবারক বলেন, “সেটা আমি বলতে পারব না। আমরা বেশি দামে কিনছি, বেশি দামে বিক্রি করছি।”
এ বিষয়ে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুমন হাওলাদার এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “বাজারে ডিমের উৎপাদন ও জোগানে সমস্যা নেই; চাহিদাও বাড়েনি। কোরবানির ঈদের সময় সাধারণত চাহিদা কম থাকে। তার পরও এভাবে ডিমের দাম বৃদ্ধির যৌক্তিক কারণ নেই।”
বর্তমানে ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা দরে প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে। অর্থাৎ প্রতিটি ডিমের দাম পড়ছে ১৩ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ১৪ টাকা। এ প্রসঙ্গে সুমন হাওলাদার বলেন, বর্তমানে উৎপাদন খরচ অনুযায়ী খুচরা পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম হওয়া উচিত ১২ টাকা ৫০ পয়সা করে। দাম এর বেশি হলে সরকারের উচিত হবে বাজারে হস্তক্ষেপ করা।
গত দুই ঈদের চেয়ে দাম বেশি
গত এপ্রিল মাসে দেশে ঈদুল ফিতর বা রোজার ঈদ পালিত হয়। ওই সময় (ঈদের আগে) বাজারে মুরগির বাদামি ডিম বিক্রি হয়েছে ডজনপ্রতি ১১৪-১২০ টাকায়। সে হিসেবে প্রতি ডজন ডিমে এখন ৫০ টাকা বাড়তি দাম গুনতে হচ্ছে ভোক্তাদের।
আর গত বছরের জুন মাসে পালিত ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের আগে প্রতি ডজন ডিমের দাম ছিল ১৩৫-১৪৪ টাকা; এবার কোরবানির ঈদের আগে দাম বেড়ে দাঁড়াল ১৬৫-১৭০ টাকা।
কমেন্ট