বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ গত মার্চ থেকে শুরু করেছে সরকার। সে হিসেবে প্রতি মাসে নতুন দাম ঘোষণা করা হচ্ছে।

জুলাই মাসের জন্য ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে এক টাকা কমানো হয়েছে; পেট্রোল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

রবিবার রাতে ঘোষিত নতুন দর অনুযায়ী, ডিজেল ও কেরোসিনের দাম হবে প্রতি লিটার ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা। পেট্রোলের বিদ্যমান মূল্য লিটারপ্রতি ১২৭ টাকা এবং অকটেনের মূল্য ১৩১ টাকা অপরিবর্তিত থাকবে।

বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণ গত মার্চ থেকে শুরু করেছে সরকার। সে হিসেবে প্রতি মাসে নতুন দাম ঘোষণা করা হচ্ছে।

প্রথম দুই দফায় দাম কমে; পরের দুই দফা বাড়ে। এবার পঞ্চম দফায় জুলাইয়ের জন্য ঘোষিত দামে প্রতি লিটার ডিজেলে ও কেরোসিনে দাম কমেছে এক টাকা। পেট্রল ও অকটেনের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

জ্বালানি তেলের নতুন দাম ১ জুলাই সোমবার থেকে কার্যকর হবে।

জ্বালানি তেলের নতুন দাম নির্ধারণ করে রবিবার রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়। এতে প্রতি লিটার ডিজেল ও কেরোসিনের দাম ১০৭ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে কমে হয়েছে ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা। ভেজাল প্রতিরোধে কেরোসিনের দাম ডিজেলের সমান রাখা হয়। পেট্রল প্রতি লিটার ১২৭ টাকা ও অকটেন ১৩১ টাকাতেই বিক্রি হবে।

জ্বালানি তেলের স্বয়ংক্রিয় মূল্য নির্ধারণের সূত্র নির্ধারণ করে নির্দেশিকা প্রকাশ করা হয় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি। তাতে বলা হয়, দেশে ব্যবহৃত অকটেন ও পেট্রল ব্যক্তিগত যানবাহনে অধিক পরিমাণে ব্যবহার করা হয়। তাই বাস্তবতার নিরিখে বিলাসদ্রব্য (লাক্সারি আইটেম) হিসেবে সব সময় ডিজেলের চেয়ে অকটেন ও পেট্রলের দাম বেশি রাখা হয়।

অকটেন ও পেট্রল বিক্রি করে সব সময় মুনাফা করে সরকারি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ পেট্টোলিয়ম করপোরেশন-বিপিসি। মূলত ডিজেলের ওপর বিপিসির লাভ-লোকসান নির্ভর করে। দেশে ব্যবহৃত জ্বালানি তেলের ৭৫ শতাংশই ডিজেল।

জ্বালানি তেলের মধ্যে উড়োজাহাজে ব্যবহৃত জেট ফুয়েল ও বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত ফার্নেস অয়েলের দাম নিয়মিত সমন্বয় করে বিপিসি। আর ডিজেল, কেরোসিন, পেট্রল ও অকটেনের দাম নির্ধারণ করে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ।

জুলাইয়ের দর নির্ধারণ করে জ্বালানি বিভাগের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকার গত মার্চ থেকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে করে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করছে। এরই ধারাবাহিকতার ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের বিদ্যমান মূল্য লিটার ১০৭ টাকা ৭৫ টাকা পয়সা থেকে এক টাকা হ্রাস করে লিটার ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা করা হয়েছে।

তবে পেট্রোল ও অকটেনের বিদ্যমান মূল্য লিটারে পরিবর্তন আনা হয়নি।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববাজারে জ্বালানি তেলের মূল্য কিছুটা কমলেও মার্কিন ডলারের বিপরীতে টাকার অবমূল্যায়নের কারণে জ্বালানি তেলের আমদানি ব্যয় বেড়েছে।

এতে বলা হয়, মূল্য সমন্বয়ের পরও ভারতের কলকাতায় বর্তমানে ডিজেল লিটার প্রতি ৯০ দশমকি ৭৬ রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১২৫ টাকা ৭০ পয়সা এবং পেট্রোল ১০৩ দশমিক ৯৪ রুপি বা বাংলাদেশি মুদ্রায় ১৪৩ টাকা ৯৬ পয়সা বিক্রি হচ্ছে।