ঘোষিত নতুন দর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কার্যকর হয়েছে। জুলাইয়ের জন্য প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৬৬ টাকা। জুনে দাম ছিল ১ হাজার ৩৬৩ টাকা।

টানা তিন মাস কমার পর জুলাইয়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) দাম বাড়ানো হয়েছে। এ দফায় ভোক্তাপর্যায়ে ১২ কেজিতে ৩ টাকা বাড়িয়েছে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। এর আগের তিন মাসে টানা কমেছিল এলপিজির দাম। গত মাসে কমেছিল ৩০ টাকা।

ঘোষিত নতুন দর মঙ্গলবার সন্ধ্যা ছয়টা থেকে কার্যকর হয়েছে। জুলাইয়ের জন্য প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৩৬৬ টাকা। জুনে দাম ছিল ১ হাজার ৩৬৩ টাকা। এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় গৃহস্থালির কাজে।

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিইআরসি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর জানানো হয়। সংস্থাটি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে।

বিইআরসির চেয়ারম্যান নূরুল আমিন নতুন এই দর ঘোষণা করেন। এলপিজির আমদানি মূল্য অপরিবর্তিত থাকলেও ডলারের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকায় দাম কিছুটা বেড়েছে বলে জানান বিইআরসির চেয়ারম্যান ।

জুলাই মাসে সাড়ে ৫ কেজি এলপিজি সিলিন্ডার ৬২৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগে ছিল ৬২৫ টাকা। ১২ কেজির এলপিজির সিলিন্ডার ১ হাজার ৩৬৬ টাকা হয়েছে, যা আগে ১৩৬৩ টাকা ছিল।

১৫ কেজির সিলিন্ডার ১ হাজার ৭০৮ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে, জুন মাসে ১০৭ টাকা ছিল।

একইভাবে ১৬ কেজি, ১৮ কেজি, ২০ কেজি, ২২ কেজি, ২৫ কেজি, ৩০ কেজি, ৩৩ কেজি, ৩৫ কেজি এবং ৪৫ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ঠিক করা হয়েছে।

বাসাবাড়িতে ব্যবহৃত রেটিকুলেটেড পদ্ধতির গ্যাসের দাম প্রতিকেজি ১১০ টাকা ০৩ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা আগের মাসে ১০৯ টাকা ৭২ পয়সা ছিল।

যানবাহনে ব্যবহৃত অটোগ্যাসের দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ৬২ টাকা ৭০ পয়সা, যা আগে ছিল ৬২ টাকা ৫৩ পয়সা।

২০২১ সালের এপ্রিল মাস থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়। প্রতি মাসে এলপিজির এ দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত।

এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।

বিইআরসির নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাটসহ) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১১৩ টাকা ৮৬ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ১১৩ টাকা ৫৫ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।

সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দাম ৬৯০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬২ টাকা ৭০ পয়সা, যা এত দিন ছিল ৬২ টাকা ৫৩ পয়সা।

বাজারে সাড়ে ৫ কেজি থেকে শুরু করে ৪৫ কেজি পর্যন্ত বিভিন্ন আকারের সিলিন্ডার সরবরাহ করা হয়। গৃহস্থালি রান্নার পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, পরিবহন, ছোট-বড় শিল্পকারখানায়ও এলপিজি ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বাজারের ৯৯ শতাংশের বেশি বেসরকারি খাতের দখলে।