১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ৪৪ টাকা

১২ কেজি এলপিজির দাম বাড়ল ৪৪ টাকা

ঘোষিত নতুন দর সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে। সেপ্টেম্বরের জন্য প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪২১ টাকা।

জ্বালানি তেলের দাম কমলেও এলপিজির দাম বেড়েছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশের বাজারেও তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজির দাম কেজিতে ৩ টাকা ৬৫ পয়সা বা ৩ দশমিক ১৯ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে।

এ হিসাবে ১২ কেজি এলপিজি সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে ৪৪ টাকা।

বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ সোমবার এই নতুন দর ঘোষণা করে সন্ধ্যা থেকেই তা কার্যকর করার কথা জানিয়েছেন।

এর আগে টানা তিন মাস কমার পর ১২ কেজি সিলিন্ডারে গত দুই মাসে (জুলাই ও আগস্ট) দাম বেড়েছিল। এর মধ্যে জুলাইয়ে বেড়েছিল ৩ টাকা, আগস্টে ১১ টাকা।

ঘোষিত নতুন দর সোমবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে কার্যকর হয়েছে। সেপ্টেম্বরের জন্য প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারের দর নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ৪২১ টাকা।

আগস্টে দাম ছিল ১ হাজার ৩৭৭ টাকা। এলপিজির ১২ কেজি সিলিন্ডার সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয় গৃহস্থালির কাজে।

সোমবার বিইআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নতুন দর ঘোষণা করেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান জালাল আহমেদ। সংস্থাটি প্রতি মাসেই এলপিজির দাম নির্ধারণ করে।

বিইআরসির নতুন দর অনুযায়ী, বেসরকারি এলপিজির মূল্য সংযোজন করসহ (মূসক/ভ্যাটসহ) দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি কেজি ১১৮ টাকা ৪৪ পয়সা, যা গত মাসে ছিল ১১৪ টাকা ৭৯ পয়সা। এই হিসাবে বিভিন্ন আকারের এলপিজি সিলিন্ডারের দাম নির্ধারিত হবে।

সরকারি কোম্পানির সরবরাহ করা এলপিজির দাম ৬৯০ টাকা অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।

আর গাড়িতে ব্যবহৃত এলপিজির (অটো গ্যাস) নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে প্রতি লিটার ৬৫ টাকা ২৬ পয়সা, যা এত দিন ছিল ৬৩ টাকা ২১ পয়সা।

২০২১ সালের এপ্রিল থেকে এলপিজির দাম নির্ধারণ করে আসছে বিইআরসি। এলপিজি তৈরির মূল উপাদান প্রোপেন ও বিউটেন বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা হয়।

প্রতি মাসে এলপিজির এই দুই উপাদানের মূল্য প্রকাশ করে সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠান আরামকো। এটি সৌদি কার্গো মূল্য (সিপি) নামে পরিচিত। এই সৌদি সিপিকে ভিত্তিমূল্য ধরে দেশে এলপিজির দাম সমন্বয় করে বিইআরসি। আমদানিকারক কোম্পানির চালান (ইনভয়েস) মূল্য থেকে গড় করে পুরো মাসের জন্য ডলারের দাম হিসাব করে বিইআরসি।

ওদিকে বিশ্ববাজারের সঙ্গে মিল রেখে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম পুনর্নির্ধারণ বা সমন্বয় করেছে সরকার। আর এতে দেশে ভোক্তা পর্যায়ে পেট্রোল ও অকটেনের দাম লিটারে ৬ টাকা এবং ডিজেল ও কেরোসিনের দাম লিটারে ১ টাকা ২৫ পয়সা করে কমছে।

গত শনিবার বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জ্বালানি তেলের মূল্য পুনর্নির্ধারণের এই তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ববাজারের সাথে সামঞ্জস্য রেখে স্বয়ংক্রিয় ফর্মুলার আলোকে প্রতিমাসে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের ধারাবাহিকতায় ভোক্তা পর্যায়ে ডিজেল ও কেরোসিনের দাম প্রতি লিটার ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ১ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়ে প্রতি লিটার ডিজেল ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা ও কেরোসিন ১০৫ টাকা ৫০ পয়সায় নির্ধারণ করা হয়েছে।

পেট্রোল ও অকটেনের দাম প্রতি লিটারে ৬ টাকা করে কমানোর কথা জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, প্রতি লিটার পেট্রোলের দাম ১২৭ টাকা থেকে কমিয়ে ১২১ টাকা এবং প্রতি লিটার অকটেনের দাম ১৩১ টাকা থেকে কমিয়ে ১২৫ টাকা পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে।

সব ধরনের জ্বালানি তেলের পুনর্নির্ধারিত বা সমন্বয়কৃত এই মূল্য শনিবার রাত ১২টার পর থেকে (১ সেপ্টেম্বর) কার্যকর হয়েছে।

সোনার দাম কমল পরবর্তী

সোনার দাম কমল

কমেন্ট

এই সংক্রান্ত আরও খবর