ডিমের দামের লাগাম টানতে যা করছে সরকার
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিদিনের খুচরা বাজার দর অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতিহালি (৪টি) ফার্মের ডিম ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিটির দাম পড়েছে ১৫ টাকা; ডজন (১২টি) ১৮০ টাকা।
কিছুতেই কিছু হচ্ছে না; বেড়েই চলেছে ডিমের দাম। নিম্ন ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের প্রাণিজ আমিষের অন্যতম উৎস ডিমের বাজার নিয়ন্ত্রণে গত ১৫ সেপ্টেম্বর প্রথম দাম বেঁধে দেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এক ডজন ডিম খুচরায় সর্বোচ্চ ১৪২ টাকায় বিক্রির কথা বলা হয়। সেই দামে একদিনও ডিম পাওয়া যায়নি। তখন বাজারে ডিমের ডজন ছিল ১৬৫ টাকা।
এরপর তা আরও বেড়েছে; বাড়তে বাড়তে ১৮০-১৯০ টাকা পর্যন্ত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার নতুন করে ডিমের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতি ডজন ডিমের মূল্য ৪৪ পয়সা বাড়িয়ে করা হয়েছে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা, যা কার্যকর হবে বুধবার থেকে।
ডিমের এই ঊর্ধ্বমুখি দামের মধ্যে পাইকারি বাজারের আড়তদাররা ডিম বিক্রি বন্ধ করে দিয়েছেন।
ডিমের বাজারের এই পরিস্থিতি সম্পর্কে গত সোমবার গণমাধ্যমকর্মীরা জানতে চাইলে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ পাল্টা প্রশ্ন করেন, “ডিম কি আমি মেশিন দিয়ে তৈরি করব?”
ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, “ব্যবস্থা…আপনি সাপ্লাই দেখেন না…নাই তো! ডেইলি ডিমের চাহিদা সাড়ে চার কোটি, পাঁচ কোটি। উৎপাদন হচ্ছে সাড়ে তিন কোটি। এখন ডিম কি আমি মেশিন দিয়ে তৈরি করব? ডিম তো চকলেট নয় যে মেশিন দিয়ে কারখানায় উৎপাদন করে বাজারে ছাড়ব।”
নিত্যপণ্যের দামের ঊর্ধ্বমুখি প্রবণতা রোধ করতে গত সোমবার সন্ধ্যায় কারওয়ান বাজার পরিদর্শনে যান অন্তর্বর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা।
এদিকে সরকারের বেঁধে দেওয়া দামে ডিম বিক্রি করতে পারছেন না বলে সোমবারই ঢাকার তেজগাঁওয়ের আড়তদাররা পাইকারি পর্যায়ে ডিম বিক্রি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেন।
একই দিন ভ্রাম্যমাণ আদালতের জরিমানার মুখে পড়ায় চট্টগ্রামের বৃহত্তম আড়ত পাহাড়তলী বাজারে ডিম বিক্রি হয়নি। ডিম কিনতে এসে ফেরত যান অনেকে খুচরা ব্যবসায়ী।
সালেহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, “বাজারে ডিমসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েছে এটা ঠিক। এ ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটের কথা বলে পার পাওয়া যাবে না। তবে বাজারে পণ্যের সরবরাহ যাতে বাড়ে ও দাম কমে আসে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে।”
তিনি বলেন, “সয়াবিন তেলের বিদেশের বাজারেও দাম বাড়তি, আমরা কীভাবে সমন্বয় করে সহনীয় পর্যায়ে রাখতে পারি…। আমাদের দিক থেকে কোনও গাফিলতি নাই। হয়তো কিছুটা ভুল থাকতে পারে।
“আমরা যেটা শুনি, পেপারে দেখি, এমনভাবে বলে বাংলাদেশ আফ্রিকার ওই কোন দেশের মতো হয়ে গেছে, কিছুই পাওয়া যায় না, কিছুই হচ্ছে না। সবই একেবারে বেড়ে যাচ্ছে। এটা কিন্তু যারা স্বল্প আয়ের মানুষ, তাদের মধ্যে ভীতির সৃষ্টি করে।”
সালেহউদ্দিন বলেন, “আমাদের দেশে ভীতির সৃষ্টি হলে হয়কি, এক সের লাগবে, পাঁচ সের কিনে নিয়ে যায়। আমাদের দেশের প্রবণতা কিন্তু এটা।”
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, “দাম বেড়েছে সেটা স্বীকার করছি। তবে দাম বাড়ার কারণও আছে। চাহিদার তুলনায় পণ্যের সরবরাহ কম। বাজারে বর্তমানে সবজিপণ্যের সরবরাহে বেশ সংকট রয়েছে।
“কারণ, সবজির উৎপাদন কমেছে। গত কয়েকটি বন্যা ও টানা বৃষ্টিতে অনেক সবজি নষ্ট হয়েছে। এখন উৎপাদন ও সরবরাহ কম থাকলে যতই বাজার তদারকি করা হোক, দাম খুব কমিয়ে আনা যাবে না।”
তিনি বলেন, “আমরা চেষ্টা করছি উৎপাদন, পাইকারি ও ভোক্তা পর্যায়ে দামের ব্যবধানটা যাতে কম থাকে। উৎপাদন করল ধরেন ১০০ টাকা, পাইকারি বিক্রি হলো ১২০ টাকা আর এখানে এসে বিক্রি হলো ১৫০ টাকা, এটা আমরা বরদাস্ত করব না।”
আবারও ডিমের দাম নির্ধারণ
গত ১৫ সেপ্টেম্বর ডিম ও মুরগির দাম বেঁধে দেয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। ওই সময় প্রতি ডজন ডিম খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ ১৪২ টাকায় বিক্রি করার কথা বলা হয়। এক্ষেত্রে উৎপাদন পর্যায়ে প্রতিটি ডিমের দাম পড়বে ১০ টাকা ৫৮ পয়সা এবং পাইকারিতে ১১ টাকা শূন্য ১ পয়সা দাম বেঁধে দেওয়া হয়।
কিন্তু ওই দামে ডিম পাওয়া যায়নি কোথাও। বরং তখন ডিমের ডজন ছিল ১৬৫ টাকা। এর পর তা বেড়ে ১৭০-১৮০ টাকা পর্যন্ত ওঠে। এই দাম আর কমেনি।
মঙ্গলবার রাজধানী ঢাকার বেশ কয়েকটি বাজারে ফার্মের মুরগির লাল ও সাদা ডিম ডজনপ্রতি ১৮০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে। পাড়া-মহল্লার দোকানগুলোয় ১৯০ টাকা পর্যন্ত ব্যয় করতে হয়েছে এক ডজন ডিমের জন্য।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিদিনের খুচরা বাজার দর অনুযায়ী, মঙ্গলবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতিহালি (৪টি) ফার্মের ডিম ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতিটির দাম পড়েছে ১৫ টাকা; ডজন (১২টি) ১৮০ টাকা।
মঙ্গলবার দুপুরে ডিম উৎপাদক ও সরবরাহকারীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) মোহাম্মদ আলীম আখতার খান নতুন মূল্য নির্ধারণের কথা জানান।
তিনি বলেন, উৎপাদক পর্যায়ে ১০ টাকা ৯১ পয়সা; পাইকারিতে ১১ টাকা ১ পয়সা ও খুচরায় ১১ টাকা ৮৭ পয়সায় ডিম বিক্রির সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার থেকে এ মূল্য কার্যকর হবে।
নতুন মূল্য কার্যকরের পর ভোক্তা পর্যায়ে প্রতি ডজন কিনতে খরচ হবে ১৪২ টাকা ৪৪ পয়সা।
ভোক্তার ডিজি বলেন, নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে ডিম বিক্রি হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
৬৫০ টাকায় এক ডজন ডিমসহ ১০ পণ্য
নিত্যপণ্যের চড়া মূল্যের প্রেক্ষাপটে সরকারি উদ্যোগে ভোক্তা পর্যায়ে সূলভ মূল্যে ডিমসহ ১০টি কৃষিপণ্য বিক্রির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকায় খাদ্য ভবনের সামনে কৃষি ওএমএস নামে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেন অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।
প্রাথমিকভাবে রাজধানীর ২০টি স্থানে ট্রাকে করে এসব কৃষিপণ্য বিক্রি করা হবে । স্থানগুলো হলো- খাদ্য ভবন, মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ, মিরপুর-১০, বাসাবো, বসিলা, রায়ের বাজার, রাজারবাগ, মুগদা-উত্তর, মুগদা-দক্ষিণ, পলাশি মোড়, হাজারীবাগ, মোহাম্মদপুর, গাবতলী, মহাখালী বাসস্ট্যান্ড, বেগুনবাড়ী, উত্তরখান, দক্ষিণ খান, কামরাঙ্গীরচর, রামপুরা ও ঝিগাতলা।
খাদ্য ভবনের সামনে ট্রাক সেলের মাধ্যমে কৃষিপণ্য বিক্রির এ কার্যক্রম উদ্বোধনের পর ক্রেতাদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে।
প্যাকেজে ৬৫০ টাকায় এক ডজন ডিম, ৫ কেজি আলু, ১ কেজি পেঁয়াজ, ১ কেজি কাঁচা পেঁপে, মিষ্টিকুমড়া ১টি, লাউ ১টি, করলা ১ কেজি, পটল ১ কেজি, কচুর মুখি ২ কেজি ও আড়াইশ গ্রাম কাঁচা মরিচ দেওয়া হচ্ছে।
কার্যক্রম উদ্বোধন করে অর্থ ও বাণিজ্য উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন বলেন, “ভোক্তারা যাতে সুলভ মূল্যে ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে সবকিছু পায় সেজন্য আমাদের এ প্রচেষ্টা। আমরা সবার সহযোগিতা কামনা করি।”
অনুষ্ঠানে কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, কর্মসূচির আওতায় প্রতিকেজি আলু ৩০ টাকা, এক ডজন ডিম ১৩০ টাকা, এক কেজি পেঁয়াজ ৭০ টাকা, এক কেজি কাঁচা পেপে ২০ টাকা এবং পাঁচ কেজি বিভিন্ন ধরনের সবুজ শাক-সবজি প্যাকেজ আকারে বিক্রি করা হবে।
আরও সাড়ে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি
বাজারে সরবরাহ ঘাটতির কারণে ডিমের দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার গত ৮ অক্টোবর আরও সাড়ে চার কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এ ছাড়া বাজারে ডিমের দাম কমাতে ডিম আমদানির ওপরে থাকা শুল্ক–কর সাময়িকভাবে প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন।
ডিমের দাম নিয়ন্ত্রণে গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৪ কোটি ডিম আমদানির অনুমোদন দেয় সরকার। এরপর গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর আরও ৬ কোটি এবং ৮ অক্টোবর আরও ৫ কোটি ডিম আমদানির অনুমতি দেওয়া হয়।
নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর চলতি বছর ৮ সেপ্টেম্বর ভারত থেকে ২ লাখ ৩১ হাজারের কিছু বেশি ডিম আনা হলেও তা বাজারদরে কোনও প্রভাব ফেলেনি।
ডিমের আমদানি শুল্ক কমছে ২০ শতাংশ
ডিমের দাম নিয়ে অস্থিরতার মধ্যে পণ্যটির আমদানি শুল্ক কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে অন্তবর্তীকালীন সরকার।
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার মঙ্গলবার ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, “দ্রব্যমূল্যকে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসতে বিশেষ করে ডিমের দাম এই মুহূর্তে ঊর্ধ্বমুখী…আজকে কয়েকটা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ডিমের আমদানি শুল্ক ৩৩ শতাংশ থেকে ১৩ শতাংশে নামিয়ে আনা অর্থাৎ ২০ শতাংশ আমদানি শুল্ক ছাড় দেওয়া হয়েছে।
“এছাড়া ভোজ্য তেলের আমদানি শুল্ক ৫ শতাংশ কমিয়ে আনা এবং উৎপাদন ও সরবরাহ পর্যায়ে মূল্য সংযোজন কর প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত হয়েছে।”
আড়তদাররা কিনবেন খামার থেকে
ভোক্তা অধিকার কার্যালয়ে ডিম সরবরাহকারী এবং আড়তদার সঙ্গে বৈঠক হয়েছে জানিয়ে আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, “বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে আড়তদাররা সরাসরি খামারিদের কাছ থেকে ডিম কিনবেন, যাতে করে ডিমের দাম কিছুটা কমে আসে, সহনীয় পর্যায়ে নেমে আসে।”
“এছাড়াও কৃষি বিপণন অধিদপ্তর রাজধানীর ২০টি স্পটে প্রাথমিকভাবে সুলভ মূল্যে দশটি পণ্য বিক্রি শুরু করেছে। এই পণ্যগুলোর মধ্যে রয়েছে আলু, পেঁয়াজ, সবজি, কাচা পেঁপে ইত্যাদি। পরবর্তীতে অন্যান্য স্পটে এই কার্যক্রম সম্প্রসারণ করা হবে।”
সিন্ডিকেটের সদস্যদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে
দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সিন্ডিকেট বিষয়ক এক প্রশ্নে আজাদ মজুমদার বলেন, “সিন্ডিকেট একটা বিষয় অনেক দিন ধরে এটা নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এটা ভাঙার বিষয়েও চেষ্টা করা হচ্ছে। সিন্ডিকেটের সদস্যদেরও শনাক্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
“আপনাদের কাছে যদি কোনো তথ্য থাকে সিন্ডিকেটের ব্যাপারে, কারা প্রাইস ম্যানিপুলেট করছে বা কারা প্রাইস মনোপলি পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছে, আপনারা যদি সরকারকে এ বিষয়ে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করেন, সরকার অবশ্যই সে বিষয়ে পদক্ষেপ নেবে।
“আর কিছু চলমান প্রক্রিয়া তো আছেই, কিছু কিছু পদক্ষেপ রয়েছে। প্রতিদিনই এটা নিয়ে সরকারের নানা পর্যায়ে আলোচনা হচ্ছে। এসব পদক্ষেপ নিয়েই সরকার চেষ্টা করছে দ্রব্যমূল্য যাতে সহনীয় পর্যায়ে আসে। সরকার অত্যন্ত সজাগভাবে চেষ্টা করছে।”
পরিবহনে চাঁদাবাজির বিষয়ে তিনি বলেন, “পরিবহনের ভাড়া যখন নির্ধারণ করা হয়, তখন চাঁদাবাজি কাউন্ট করে কিন্তু ভাড়াটা নির্ধারণ করা হয় না, চাঁদার বিষয় একটি অপরাধের পর্যায়ে আছে। যারা সরকারের অপরাধ নিয়ন্ত্রণ কাজ করেন তারা অবশ্যই এটা ভেবে দেখবেন চাঁদা কারা চায়, কেন দিতে হয়, সেগুলো নিয়ে তারা নিশ্চয় কাজ করবেন।
কিন্তু ভাড়ার সঙ্গে চাঁদার বিষয়ে সরাসরি সম্পর্কিত নয়। যে বিষয়গুলো সম্পর্কিত সে বিষয়গুলো নিয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ নিশ্চয় কাজ করবে,” বলেন আজাদ।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, সহকারী প্রেস সচিব সুচিস্মিতা তিথি ও নাঈম আলী।
কমেন্ট