পেঁয়াজের দাম বাড়ছেই, কেজি ১৫০ টাকা
দুই-তিন ব্যবধানেই কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে মসলা জাতীয় এই পণ্যটির দাম।
বাঙালির রান্নার একটি অন্যতম প্রধান উপকরণ পেঁয়াজের দাম নাগালের বাইরে চলে যাচ্ছে; কেজি ১৫০ টাকা ছাড়িয়েছে।
দুই-তিন ব্যবধানেই কেজিতে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে মসলা জাতীয় এই পণ্যটির দাম।
সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিদিনের খুচরা বাজার দর অনুযায়ী, সোমবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১২০ টাকায়।
তবে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট ও শেওড়াপাড়া—এই তিন বাজারে ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ ১৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। পাড়া-মহল্লার দোকাগুলোতেও দেশি পেঁয়াজ ১৬০ টাকা দরে বিক্রি হতে দেখা গেছে।
শেওড়াপাড়া বাজারের মেসাস মুনা ট্রেডার্সের মালিক আব্দুল হাকিম এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “আজ (সোমবার) আমরা সকালে ১৫০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছি। সন্ধ্যায় অবশ্য ১৫৫/১৬০ টাকায়ও বিক্রি করেছি। ঘন্টায় ঘন্টায় বাড়ছে দাম।”
কেনো বাড়ছে—জানতে চাই হাকিম বলেন, “আমরা জানি না। পাইকারি বাজারে দাম বাড়ছে। আমরা বেশি দামে কিনছি; তাই বেশি দামে বিক্রি করছি। পরিবহন খরচ বাদে আমরা কেজিতে ২/৩ টাকা লাখ করছি।”
টিসিবির প্রতিদিনের বাজার দর ঘেঁটে দেখা যায়, এক সপ্তাহে আগে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১১০ থেকে ১৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। সোমবার এই পেঁয়াজ বিক্রি হয় ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায়।
গত বছরের নভেম্বর-ডিসেম্বর মাসে পেঁয়াজের দর চড়েছিল। ভারত রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার খবরে ওই সময় দেশে পেঁয়াজের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়ে ১৯০ টাকা পর্যন্ত উঠেছিল।
পেঁয়াজ আমদানিকারক ও শ্যামবাজার পেঁয়াজ ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মাজেদ এআরএইচ ডট নিউজকে বলেন, “কয়েক দিন ধরেই পেঁয়াজের দাম ঊর্ধ্বমুখী। দেশি পেঁয়াজ আজ পাইকারি বিক্রি হয়েছে ১৩০ থেকে ১৩৫ টাকা কেজি, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।“
“চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম। সে কারণেই দাম বাড়ছে। ডিসেম্বরের শেষে নতুন পেঁয়াজ উঠতে শুরু করবে। তার আগ পর্যন্ত পেঁয়াজের দাম চড়াই থাকবে।”
প্রতি বছরই এই সময়ে পেঁয়াজের দাম বাড়ে বলে জানান মাজেদ।
টিসিবির তথ্য অনুযায়ী, গত এক বছরে দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ৪০ শতাংশ এবং আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ২৫ শতাংশ।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ২৮ লাখের মতো। এ বছর ৩৪ লাখ টন পেঁয়াজ উৎপাদিত হয়েছে। তা দেশের চাহিদা মেটানোর জন্য যথেষ্ট। তবে হিমাগারের অভাবে অনেক পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে।
তবে শ্যামবাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, গত ফেব্রুয়ারিতে বৈরী আবহাওয়ার কারণে পেঁয়াজের উৎপাদন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হিসাবের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম হয়েছে।
কমেন্ট