শুল্ক ছাড়াই পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ

শুল্ক ছাড়াই পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ

পেঁয়াজ আমদানিতে এতদিন ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক ছিল।

বাঙালির রান্নার অন্যতম প্রধান উপকরণ পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টেনে ধরতে আমদানির ওপর বিদ্যমান শুল্ক ও রেগুলেটরি ডিউটি (নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক) সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে নিয়েছে অন্তবর্তী সরকার।

এর ফলে পেঁয়াজ আমদানিতে আর কোনো শুল্ক থাকল না। অর্থাৎ দেশে শুল্কমুক্ত পেঁয়াজ আমদানির সুযোগ তৈরি হলো; ব্যবসায়ীরা এখন কোনো শুল্ক ছাড়াই পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন।

বুধবার জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) জারি করা এক প্রজ্ঞাপনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান স্বাক্ষরিত ওই প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অনতিবিলম্বে এই প্রজ্ঞাপন কার্যকর হয়ে ২০২৫ সালের ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

পেঁয়াজ আমদানিতে এতদিন ৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক ও ৫ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক (মোট ১০ শতাংশ) ছিল।

বছরের শেষের দিকে কৃষকের ঘরে পেঁয়াজ না থাকায় দুই থেকে তিন সপ্তাহ ধরে দাম বাড়া শুরু হয়েছে, যা এখনও বাড়ছে।

সপ্তাহখানেক আগে রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১৩৫ থেকে ১৪০ টাকা বিক্রি হলেও বুধবার বিক্রি হয়েছে ১৬০ টাকা কেজি দরে। আমদানি করা পেঁয়াজ ক্রেতাদের কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকা বা এর আশেপাশে।

সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) প্রতিদিনের খুচরা বাজার দর অনুযায়ী, বুধবার রাজধানীর বাজারগুলোতে প্রতিকেজি দেশি পেঁয়াজ ১৩০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৮৫ থেকে ১২০ টাকায়।

শুল্ক তুলে নেওয়ার প্রজ্ঞাপনের তথ্য জানিয়ে এনবিআরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এতে পেঁয়াজের আমদানি বেড়ে বাজারে পেঁয়াজ সরবরাহ বাড়বে এবং মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

গত ৩১ অক্টোবর বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন আমদানি শুল্ক ও নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক অব্যাহতির সুপারিশ করে এনবিআরকে একটি চিঠি দিয়েছিল।

এই প্রেক্ষাপটে অর্থ মন্ত্রণালয় এনবিআরের সঙ্গে বৈঠকে করে পেঁয়াজ আমদানিতে শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।

সোনার দাম আরও কমল পূর্ববর্তী

সোনার দাম আরও কমল

সোনার দাম কমল ভরিতে ১,৩৬৫ টাকা পরবর্তী

সোনার দাম কমল ভরিতে ১,৩৬৫ টাকা

কমেন্ট

এই সংক্রান্ত আরও খবর