সোনার দাম ভরিতে কমল ১৪৮১ টাকা
সোমবার থেকে দেশের বাজারে এক গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনা কিনতে ১১ হাজার ৭৬৫ টাকা লাগবে। ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামে এক ভরি হিসাবে প্রতিভরি কিনতে লাগবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২২৭ টাকা।
দেশের বাজারে সোনার দাম ওঠানামা করছে। এই দফায় তিনদিনের ব্যবধানে সবচেয়ে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেট সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ৪৮১ টাকা কমানো হয়েছে।
বাজুসের সবশেষ ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার থেকে এই মানের প্রতিভরি সোনা ১ লাখ ৩৭ হাজার ২২৭ টাকায় বিক্রি হবে। অন্যান্য মানের সোনার দরও প্রায় একই হারে কমানো হয়েছে।
নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, সোমবার থেকে দেশের বাজারে এক গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনা কিনতে ১১ হাজার ৭৬৫ টাকা লাগবে। ১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রামে এক ভরি হিসাবে প্রতিভরি কিনতে লাগবে ১ লাখ ৩৭ হাজার ২২৭ টাকা।
২১ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনা কিনতে লাগবে ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৮ টাকা। ১৮ ক্যারেটে লাগবে ১ লাখ ১২ হাজার ২৮৯ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনা বিক্রি হবে ৯২ হাজার ১৩৪ টাকায়।
রবিবার পর্যন্ত এক গ্রাম ২২ ক্যারেট সোনা কিনতে ১১ হাজার ৯৯২ টাকা লেগেছে। প্রতিভরি কিনতে খরচ হয়েছে ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭০৮ টাকা।
২১ ক্যারেটের প্রতিভরি সোনা কিনতে লেগেছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৫৬ টাকা। ১৮ ক্যারেটে লেগেছে ১ লাখ ১৩ হাজার ৪৯১ টাকা। আর সনাতন পদ্ধতির এক ভরি সোনা বিক্রি হয়েছে ৯৩ হাজার ১৬০ টাকায়।
হিসাব বলছে, তিন দিনের ব্যবধানে প্রতিভরি ২২ ক্যারেট সোনার দাম কমেছে ১ হাজার ৪৮১ টাকা। ২১ ক্যারেটের দাম কমেছে ১ হাজার ৪০০ টাকা। ১৮ ক্যারেটের কমেছে ১ হাজার ২০১ টাকা।
সনাতন পদ্ধতির প্রতিভরি সোনার দাম কমেছে ১ হাজার ২৮ টাকা।
দুই দিনে ২২ ক্যারেট সোনার দাম ভরিতে ৪ হাজার ৭১২ টাকা কমানোর পর গত বুধবার ১ হাজার ১৫৫ টাকা বাড়িয়েছিল স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
চার দিনের ব্যবধানে তিন দফায় ২২ ক্যারেট সোনার দাম ভরিতে ৭ হাজার ৭৫৭ টাকা বাড়ানোর পর গত বৃহস্পতিবার ১ হাজার ৮৯০ টাকা কমানো হয়। পরের দিন শুক্রবার কমানো হয় ২ হাজার ৮২২ টাকা।
এর আগে চার দফায় সবচেয়ে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ৯ হাজার টাকা কমানোর পর গত ২০ নভেম্বর ২ হাজার ৯৩৯ টাকা বাড়ানো হয়েছিল। ২২ নভেম্বর থেকে বাড়ে ১ হাজার ৯৯৫ টাকা। ২৪ নভেম্বর থেকে বেড়েছিল আরও ২ হাজার ৮২৩ টাকা।
অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গত ৩১ অক্টোবর প্রতিভরি ২২ ক্যারেট সোনার দাম ১ লাখ ৪৩ হাজার ৪২৪ টাকায় উঠেছিল। এরপর থেকে ওঠানামা করছে মূল্যবান এই ধাতুর দাম।
রবিবার রাতে বাজুসের মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সোনার দাম কমানোর ঘোষণা দিয়ে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি স্বর্ণের (পিওর গোল্ড) মূল্য হ্রা পেয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
সোমবার থেকে নতুন দর কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাজুস।
বিশ্ববাজারারেও কমেছে
বিশ্ববাজারেও সোনার দর খানিকটা কমেছে। চড়তে চড়তে অক্টোবরের শেষের দিকে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিআউন্স (৩১.১০৩৪৭৬৮ গ্রাম) সোনার দাম প্রায় ২ হাজার ৮০০ ডলারে উঠে গিয়েছিল। সেই দর কমতে কমতে গত ১৫ নভেম্বর ২ হাজার ৫৫০ ডলারে নেমে এসেছিল।
গত কয়েক দিন টানা বেড়ে তা ২ হাজার ৭০০ ডলার ছাড়িয়ে গিয়েছিল। তবে সেই দর ফের নিম্নমূখী হয়েছিল; মাঝে দুই-দিন আবার ঊর্ধ্বমূখী হয়। তবে শনিবার আবার খানিকটা বেড়েছে।
রবিবার সাপ্তাহিক ছুটির কারণে আন্তর্জাতিক বাজার বন্ধ ছিল। আগের দিন শনিবার বিশ্ববাজারে প্রতিআউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ৬৫১ ডলার ২৪ সেন্টে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাতে বাজুস যখন দেশের বাজারে সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেয়, তখন আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতিআউন্স সোনার দাম ছিল ২ হাজার ৬৬০ ডলার।
গত ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে বিশ্ববাজারে প্রতিআউন্স সোনার দাম কমতে কমতে ২ হাজার ডলারের নিচে নেমে গিয়েছিল।
কমেন্ট