রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম আরও ৫০ পয়সা বাড়ল
ফাইল ছবি
বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রদান উৎস রপ্তানি আয়ে ডলারের দাম আরও ৫০ পয়সা বাড়ানো হয়েছে। তবে রেমিটেন্স বা প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে।
সোমবার বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের সঙ্গে জড়িত ব্যাংকগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) ও ব্যাংকের শীর্ষ নির্বাহীদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকার্স বাংলাদেশের (এবিবি) বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডলারের নতুন দামের এ সিদ্ধান্ত পরবর্তী কর্মদিবস থেকে কার্যকর হবে। বাফেদার এই সিদ্ধান্তের কারণে রপ্তানিকারকেরা প্রতি ডলারের বিপরীতে স্থানীয় মুদ্রায় পাবেন ১০৭ টাকা ৫০ পয়সা। প্রবাসী আয়ের ক্ষেত্রে ডলারের দর যা ছিল তা–ই থাকবে, অর্থাৎ ১০৮ টাকা ৫০ পয়সা।
এ ছাড়া আন্তব্যাংক দর হবে সর্বোচ্চ ১০৯ টাকা। সোমবার বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইটে আন্তঃব্যাংক লেনদেনে ডলারের সর্বোচ্চ দর ছিল ১০৮ টাকা ৯০ পয়সা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর গত বছরের মার্চ থেকে দেশে ডলার-সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। এ সংকট মোকাবিলায় শুরুতে ডলারের দাম বেঁধে দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক, কিন্তু এতে সংকট আরও বেড়ে যায়।
পরে গত সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম নির্ধারণের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়। এ দায়িত্ব দেওয়া হয় এবিবি ও বাফেদার ওপর। এর পর থেকে এ দুই সংগঠন মিলে রপ্তানি ও প্রবাসী আয় এবং আমদানি দায় পরিশোধের ক্ষেত্রে ডলারের দাম নির্ধারণ করে আসছে।
মূলত, বাংলাদেশ ব্যাংকের সিদ্ধান্ত কার্যকর করছে এ দুই সংগঠন।
বাফেদা ও এবিবি রপ্তানি আয় ও রেমিসটেন্সে ডলারের দাম বেশ কয়েক দফা বাড়িয়েছে। এ দফায় রপ্তানি আয়ে ডলারের দর আরও ৫০ পয়সা বাড়িয়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে যে ৪৭০ কোটি ডলার ঋণ দিচ্ছে, তার অন্যতম শর্ত হলো সব ক্ষেত্রে ডলারের এক দাম নির্ধারণ করতে হবে।
অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা বলছেন, আইএমএফের শর্ত পূরণের অংশ হিসেবে ডলারের দাম বাড়ানো হচ্ছে। বাজারে যে দামে ডলার কেনাবেচা হচ্ছে, তার চেয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক দর কম। এ কারণে সামনে ডলারের দর আরও বাড়াতে হবে।
কমেন্ট