একেএম সেলিম ওসমান

নিট পোশাক উৎপাদক ও রপ্তানিকারকদের সংগঠন বিকেএমইএর পরিচালনা পর্ষদে ২০২৩-২৫ মেয়াদে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন সংসদ সদস্য একেএম সেলিম ওসমান।

এ  নিয়ে টানা সপ্তম মেয়াদে তিনি বিকেএমইএর সভাপতি নির্বাচিত হলেন। বুধবার বিকেএমইএর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। সেলিম ওসমান ২০১০ সালে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান খাত তৈরি পোশাক শিল্পমালিকদের অত্যম শীর্ষ সংগঠন বিকেএমইএ’র প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন। 

মোহাম্মদ হাতেম সংগঠনটির নির্বাহী সভাপতি এবং মনসুর আহমেদ জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। সহসভাপতি হয়েছেন ফজলে শামীম এহসান, অমল পোদ্দার, গাওহার সিরাজ জামিল, মোরশেদ সারোয়ার সোহেল, আখতার হোসেন অপূর্ব ও মোহাম্মদ রাশেদ। 

মঙ্গলবার বিকেএমইএ’র প্রধান কার্যালয়ে ২০২১-২৩ মেয়াদে দায়িত্ব গ্রহণকারী নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করা হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২০ জুলাই মনোনয়নপত্র সংগ্রহের নির্ধারিত দিনে সেলিম ওসমানের  নেতৃত্বে বিকেএমইএ পরিচালনা পর্ষদের নির্ধারিত পদের বিপরীতে সমান সংখ্যক মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন সম্মিলিত নিট ফোরামের প্রার্থীরা। নির্ধারিত পদের বিপরীতে সমান সংখ্যক মনোনয়নপত্র জমা পড়ে। এ কারণে বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা অনুযায়ী নির্বাচনের প্রয়োজন হয়নি। 

“ফলে বিধি অনুযায়ী টানা ৭ম মেয়াদে সভাপতি নির্বাচিত হন সেলিম ওসমান।” 

পরিচালনা পর্ষদে ২৫ জন পরিচালকের মধ্যে ২৪ জনের নাম ঘোষণা করা হয়। তারা হলেন-মঞ্জুরুল হক, আবু আহমেদ সিদ্দিক, শামসুজ্জামান, মোস্তফা মনোয়ার ভূঁইয়া, আশিকুর রহমান, শ্যামল কুমার সাহা, সাহাদাত হোসেন ভূঁইয়া, খন্দকার সাইফুল ইসলাম, তারেক আফজাল, রাজিব দাস সুজয়, এম আই সিদ্দিক, রতন কুমার সাহা, নন্দ দুলাল সাহা, মির্জা আকবর আলী চৌধুরী, আহমেদ নূর ফয়সাল, আব্দুল হান্নান, ইমরান কাদের তুর্য, ফকির কামরুজ্জামান নাহিদ, মোহাম্মদ শামসুল আজম, আক্কাস উদ্দিন মোল্লা, মোহাম্মদ জাকারিয়া ওয়াহিদ, লুতফর রহমান, মিনহাজুল হক, ফওজুল ইমরান খান এবং খোরশেদ আহমেদ তুনিম। 

বাকি এক জনের নাম বাণিজ্য সংগঠন বিধিমালা অনুযায়ী পরবর্তীতে ঘোষণা করা হবে। 

এফবিসিসিআইর সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি মোহাম্মদ আলী নির্বাচন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি খালেদ হায়দার খান কাজল এবং এফবিসিসিআই’র সাবেক পরিচালক প্রবীর কুমার সাহা নির্বাচন বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

গত ২৮ মে বিকেএমইএ নির্বাচন বোর্ড নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী ২৬ আগস্ট ভোট গ্রহণের কথা ছিল। কিন্তু সংগঠনটির পরিচালনা পরিষদের ৩৫টি পদের বিপরীতে মনোনয়ন পত্র সংগ্রহের শেষ দিনে ৩৫ জন প্রার্থী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহণ করায় নির্বাচন পর্যন্ত আর যেতে হয়নি। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তারা।