অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে রপ্তানি আয় বেড়েছে ১৫.২৬ শতাংশ
নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪৫৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের জুলাই মাসের চেয়ে ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আয় এসেছে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
বর্তমান বিশ্ব পেক্ষাপটে অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সূচক বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের অন্যতম প্রধান উৎস রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক ধারা নিয়ে শুরু হলো ২০২৩-২৪ অর্থবছর।
নতুন অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪৫৯ কোটি ২৯ লাখ ২০ হাজার (৪.৫৯ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছেন বাংলাদেশের রপ্তানিকারকরা। এই অঙ্ক গত অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের চেয়ে ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আয় এসেছে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
তবে, গত আগের মাস অর্থাৎ গত অর্থবছরের শেষ মাস জুনের চেয়ে পণ্য রপ্তানি থেকে আয় কমেছে ৮ দশমিক ৬০ শতাংশ।
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩৯৮ কোটি ৪৮ লাখ (৩.৯৮ বিলিয়ন) ডলার রপ্তানি আয় দেশে এসেছিল। শেষ মাস জুনে এসেছিল ৫০৩ কোটি ১৫ লাখ (৫.০৩ বিলিয়ন) ডলার।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৪৪৮ কোটি ১০ লাখ (৪.৪৮ বিলিয়ন) ডলার।
এই মাসে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান তৈরি পোশাক থেকে এসেছে ৩৯৫ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার (৩.৯৫ বিলিয়ন) ডলার। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, জুলাই মাসে মোট রপ্তানি আয়ের ৮৬ শতাংশের বেশি এসেছে তৈরি পোশাক থেকে।
তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান এআরএইচ ডটকমকে বলেন, “বৈশ্বিক অস্থিরতার মধ্যেও রপ্তানি আয়ে ভালো প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এটা খুশির খবর। তবে আগের মাস জুনের চেয়ে কিন্তু আয় কমেছে। জুনে ৫ বিলিয়ন ডলারের বেশি আয় হয়েছিল।”
“তবে আগামী দিনগুলোতে এই ইতিবাচক ধারা থাকবে বলে মনে হয় না। কেননা, বিশ্ব পরিস্থিতি অনুকুলে নয়। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামার কোনো লক্ষ্যণ নেই। আমাদের সবচেয়ে বড় বাজার যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তনি কমছে। ইউরোপের দেশগুলোতেও প্রবৃদ্ধি কমে আসছে। জানি না কী হবে,” বলেন বিজিএমইএ প্রধান।
রপ্তানি উুন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি) বুধবার রপ্তানি আয়ের হালনাগাদ যে তথ্য প্রকাশ করেছে তাতে দেখা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে পণ্য রপ্তানি থেকে ৪৫৯ কোটি ২৯ লাখ ২০ হাজার (৪.৫৯ বিলিয়ন) ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ।
এই অঙ্ক গত অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের চেয়ে ১৫ দশমিক ২৬ শতাংশ বেশি। আর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি আয় এসেছে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ।
২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ৩৯৮ কোটি ৪৮ লাখ (৩.৯৮ বিলিয়ন) ডলার রপ্তানি আয় দেশে এসেছিল। শেষ মাস জুনে এসেছিল ৫০৩ কোটি ১৫ লাখ (৫.০৩ বিলিয়ন) ডলার।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা ছিল ৪৪৮ কোটি ১০ লাখ (৪.৪৮ বিলিয়ন) ডলার।
গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে মোট ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ৮৮ লাখ (৫৫.৫৬ বিলিয়ন) আয় করেছিলেন রপ্তানিকারকরা। যা ছিল ২০২১-২২ অর্থবছরের চেয়ে ৬ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি। তবে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪ দশমিক ২১ শতাংশ কম।
২০২১-২২ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৫২ দশমিক শূন্য আট বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল বাংলাদেশ।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পণ্য রপ্তানি থেকে ৬২ বিলিয়ন ডলার আয়ের লক্ষ্য ধরেছে সরকার।
৮৬ শতাংশই এসেছে পোশাক থেকে
ইপিবির তথ্যে দেখা যায়, জুলাই মাসে দেশের রপ্তানি আয়ের প্রধান তৈরি পোশাক থেকে এসেছে ৩৯৫ কোটি ৩৭ লাখ ৪০ হাজার (৩.৯৫ বিলিয়ন) ডলার। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, জুলাই মাসে মোট রপ্তানি আয়ের ৮৬ দশমিক শূন্য আট শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক থেকে। আর এই খাতের উপর ভর করেই রপ্তানি আয়ে প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ।
জুলাই মাসে পোশাক খাত থেকে আয়ের লক্ষ্য ধরা ছিল ৩৭৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার। গত বছরের জুলাই মাসে এই খাত থেকে আয় হয়েছিল ৩৩৬ কোটি ৬৯ লাখ ডলার।
এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, এই মাসে গত বছরের জুলাই মাসের চেয়ে তৈরি পোশাক থেকে আয় বেড়েছে ১৭ দশমিক ৪৩ শতাংশ। আর লক্ষ্যের চেয়ে আয় বেশি এসেছে ৪ দশমিক ৬৫ শতাংশ।
ইপিবির তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, নিট পোশাক রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ২২৬ কোটি ৬৪ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ২২ দশমিক ২৪ শতাংশ। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে আয় বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৪ শতাংশ।
এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে, জুলাই মাসে পণ্য রপ্তানি থেকে মোট যে আয় হয়েছে, তার প্রায় অর্ধেকই এসেছে নিট পোশাক থেকে।
ওভেন পোশাক থেকে এসেছে ১৬৮ কোুিট ৭২ লাখ ডলার। প্রবৃদ্ধি১০ দশমিক ৩০ শতাংশ। তবে লক্ষ্যের চেয়ে আয় কম এসেছে ২ দশমিক শূন্য আট শতাংশ।
অন্যান্য খাত
অন্যান্য খাতের মধ্যে জুলাই মাসে কৃষি পণ্য রপ্তানি থেক আয় েবেড়েছে ১৪ দশমিক ৫৩ শতাংশ। ওষুধ রপ্তানিতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৩০ দশমিক ২২ শতাংশ। প্লাষ্টিক দ্রব্য রপ্তানি বেড়েছে ১৪ দশমিক ৬৪ শতাংশ। পাট ও পাটজাত পণ্য রপ্তানি বেড়েছে ২ দশমিক ৭৫ শতাংশ।
তবে, হোম টেক্সটাইল রপ্তানি কমেছে ৪৪ দশমিক ৭৭ শতাংশ। হিমায়িত মাছ রপ্তানি থেকে আয় কমেছে ১৮ দশমিক ৪ শতাংশ।
কমেন্ট