মিয়ানমারও চাল রপ্তানিতে লাগাম টানছে

মিয়ানমারও চাল রপ্তানিতে লাগাম টানছে

শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল রপ্তানিতে সাময়িক বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা করছে মিয়ানমার। ছবি: সংগৃহীত

ভারত চাল রপ্তানি বন্ধ এবং ইউক্রেনের বন্দরগুলো থেকে নিরাপদে শস্য রপ্তানির চুক্তি রাশিয়া নবায়ন না করায় বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিয়ে সংকট দেখা দিয়েছে। এর মধ্যেই বাংলাদেশের আরেক প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারও চাল রপ্তানিতে বিধিনিষেধ আরোপ করছে। 

শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অভ্যন্তরীণ বাজারে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে চাল রপ্তানিতে সাময়িক বিধিনিষেধ আরোপের পরিকল্পনা করছে মিয়ানমার। মিয়ানমার রাইস ফেডারেশনের একজন জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।

এর আগে গত ২০ জুলাই বাসমতী ছাড়া সব ধরনের চাল রপ্তানি বন্ধ করে বিশ্বের শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশ ভারত। 

মিয়ানমার বিশ্বের পঞ্চম শীর্ষ চাল রপ্তানিকারক দেশ। যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি দপ্তর থেকে দেওয়া সর্বশেষ হিসাব অনুযায়ী, মিয়ানমার প্রতিবছর গড়ে ২০ লাখ টন চাল রপ্তানি করে থাকে। 

মিয়ানমার রাইস ফেডারেশনের ওই কর্মকর্তা রয়টার্সকে বলেন, “চলতি মাসের শেষ দিক থেকে আমরা সাময়িক সময়ের জন্য চাল রপ্তানি সীমিত করব। প্রায় ৪৫ দিন তা বলবৎ থাকবে।” 

দেশের বাজারে চালের দাম বাড়তে থাকায় কর্তৃপক্ষ রপ্তানিতে লাগাম টানছে বল জানান তিনি। 

বর্ষা মৌসুমে ভারী বৃষ্টিতে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির কথা জানিয়েছে চাল রপ্তানি বন্ধ করেছে ভারত সরকার। দেশটির এ সিদ্ধান্তে বিশ্ববাজারে চালের সরবরাহ এক কোটি টন বা ২০ শতাংশ কমেছে।

চাল রপ্তানিতে লাগাম টানতে মিয়ানমারের এ পরিকল্পনা প্রসঙ্গে মুম্বাইভিত্তিক একজন রপ্তানিকারক রয়টার্সকে বলেছেন, “মিয়ানমার বৈশ্বিক চালের বাজারে ভারত অথবা থাইল্যান্ডের মতো বড় খেলোয়াড় নয়। কিন্তু মিয়ানমার এমন এক সময় এই সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, যখন বিশ্ববাজারে চালের সরবরাহ কমে গেছে।” 

“দেশটির এই পদক্ষেপে বৈশ্বিক চালের বাজারে অস্থিরতা বাড়বে। এতে ক্রেতাদেরও উদ্বেগ বাড়বে।” 

চাল রপ্তানিতে ভারতের লাগাম টানার সিদ্ধান্তে থাইল্যান্ড, ভিয়েতনামের মত শীর্ষ রপ্তানিকারক দেশও পণ্যটির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। 

সরবরাহ কমে যাওয়ায় গত সপ্তাহে এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ দাম উঠে যায় ভিয়েতনামের চালের, দাম চড়েছে থাই চালেরও। 

ভিয়েতনামের চালের (৫ শতাংশ ভাঙা) দাম বেড়ে প্রতি টন দাঁড়িয়েছে ৬৫০ থেকে ৬৬০ ডলারে। থাইল্যান্ডেও এ মানের চালের দাম বেড়ে প্রতি টন ৬৩০ ডলার হয়েছে, যেখানে আগের সপ্তাহে এই দাম ছিল ৬১৫-৬২০ ডলার। 

এল নিনোর প্রভাবে উৎপাদন কমে যাওয়ার আশঙ্কা তৈরি হওয়ায় ফিলিপিন্স, ইন্দোনেশিয়ার মত আমদানিকারক দেশ চালের সংগ্রহে হন্য হয়ে ছুটছে।  তাতে বাজারে আরও অস্থিরতার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।

এবারও ৮ খাতের পণ্য রপ্তানিতে মিলবে ২০% নগদ সহায়তা পরবর্তী

এবারও ৮ খাতের পণ্য রপ্তানিতে মিলবে ২০% নগদ সহায়তা

কমেন্ট